সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরার সুলতানপুর বড়বাজারের পাইকারি পেঁয়াজের আড়ৎ ঘুরে দেখা যায়, দেশি পেঁয়াজের বস্তা কাটা হচ্ছে ৬৫ থেকে ৬৬ টাকা, আর মাটিতে ঢেলে বিক্রি হচ্ছে ৬৭ টাকা কেজিতে। লাল জাতের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। অন্যদিকে, ভারতীয় নাসিক জাতের পেঁয়াজ বস্তায় কাটা হচ্ছে ৬০ টাকা, আর মাটিতে ঢালে এর দাম ৬২ টাকা। খুচরা বাজারে এই পেঁয়াজের দাম আরও একটু বেশি, ৫ থেকে ৭ টাকা কেজি। তবে পুরোপুরি নিশ্চিত করে বলা যায়, ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকলেও বাজারে পেঁয়াজের দাম এখনো কমে যাওয়ার দিকে, কারণ সরবরাহ বেড়ে গেছে। বাজারের মালিক আব্দুল আজিজ বলেন, সরকারের অনুমতি না থাকলেও প্রয়োজন অনুযায়ী সরবরাহ বাড়ছে। ব্যবসায়ীরা মুনাফার লোভে গুদামে পেঁয়াজ জমা রাখলেও, আমদানি বন্ধ থাকায় দাম অস্থির থাকেনি। কিন্তু এখন আমদানির পুনরায় শুরু হওয়ায় অনেক ব্যবসায়ী ও চাষিরা পেঁয়াজ বিক্রি করতে ভয় পেয়ে থাকেন, যার ফলে দাম এখনও স্বাভাবিক। ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে এটাই শেষ আমদানি ২৭ মার্চ, এরপর কয়েক মাসের জন্য বন্ধ ছিল। গত ১৭ আগস্ট আবার আমদানি শুরু হয়। প্রথম দিনে সাতটি ট্রাকে ২০২ মেট্রিক টন, দ্বিতীয় দিনে ১৩ ট্রাকে আরও ৩১০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আনা হয়। মোট এই পাঁচ দিনে প্রায় ৩ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। তবে সরকার ১৯ আগস্ট থেকে নতুন করে পেঁয়াজ আমদানি অনুমতি বন্ধ করে দেওয়ায়, এখন কেউ নতুন করে আদানপ্রদান করছেন না, ফলে সরবরাহে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। ব্যাংক ও বন্দরের সহযোগিতা থাকলে দ্রুত বাজারে সরবরাহ বাড়ানো সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
Leave a Reply