শিক্ষার্থীরা দ্রুত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি আইন-২০২৫’ চূড়ান্ত করে অস্থায়ী অধ্যাদেশ জারির জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। পুলিশের কঠোর অবস্থানের মধ্যে সকালে তারা শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান নেন, ফলে সচিবালয় অভিমুখী প্রধান সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শিক্ষার্থীদের অগ্রসর বাধা দিতে পুলিশ সেখানে ব্যারিকেড বসায়।
সকালে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে এসে শিক্ষাবিষয়ক ভবনের সামনে অবস্থান নেন। পরে অন্যান্য কলেজের শিক্ষার্থীরাও যোগ দেন— যেমন ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ ও তিতুমীর কলেজ।
অভ্যুত্থানের কারণে সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়, এবং শিক্ষার্থীরা যাতে সচিবালয় অভিমুখী পথে প্রবেশ করতে না পারে, সেই জন্য পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে রাখে। এতে নারী শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ অংশ নিয়ে নানা ধরনের স্লোগান দেন— যেমন ‘অধ্যাদেশ নিয়ে টালবাহানা চলছে, না চলবে’, ‘রক্তে আগুন জ্বলছে’, ‘শিক্ষা বাণিজ্য চলবে না’।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী জিসান বলেন, সরকার সাত কলেজকে একত্র করে ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় করার ঘোষণা দিয়েছে, কিন্তু এখনও আইন প্রকাশ হয়নি। তিনি আরও জানান, তারা আজই অধ্যাদেশ চান, অন্যথায় কঠোর আন্দোলন চালানো হবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৬ মার্চ সরকার ঘোষণা দেয় যে, সাতটি প্রাচীন সরকারি কলেজকে পৃথক করে একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গঠন করা হবে। শিক্ষাব⟩দ্য সরকারি ব্যবস্থাপনা সংস্থা ইউজিসি তার জন্য ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নামের প্রস্তাব করে। এ কলেজগুলো হলো— ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ এবং সরকারি তিতুমীর কলেজ।
Leave a Reply