সর্বশেষঃ
সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন রুশ হামলার আশঙ্কায় কিয়েভে দূতাবাস বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র তহবিল না দিলে যুদ্ধে হারবে ইউক্রেন, স্বীকারোক্তি জেলেনস্কির ৬ বছরে মুজিববর্ষ উদযাপনে আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যয় ১ হাজার ২৬১ কোটি টাকা আন্তর্জাতিক অপরাধ অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন, রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিধান রাখা হয়নি আইসিটি’র বিচারকাজ ধারণ ও সম্প্রচারের অনুমতিসহ আইন সংশোধনের অধ্যাদেশ অনুমোদন একাত্তরের ভুল প্রমাণিত হলে জাতির কাছে ক্ষমা চাইব: জামায়াত আমির নতুন আইজিপি বাহারুল আলম, ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাদ আলী ‘ফিলিস্তিনের পতন হলে ইরান, সৌদি ও তুরস্ক হবে পরবর্তী টার্গেট’ ১৫ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া বৃহস্পতিবার ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
অপরিকল্পিত স্থাপনায় ছেয়ে গেছে চট্টগ্রাম

অপরিকল্পিত স্থাপনায় ছেয়ে গেছে চট্টগ্রাম

জনবল-সংকটে হিমশিম খাচ্ছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত চট্টগ্রামের উন্নয়নে নিয়োজিত এই প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৩০০ জনের মতো কাজ করলেও জনবল-ঘাটতি আছে ৬০০ জনের মতো। সীমিত লোকবলের কারণে অতিরিক্ত কাজের চাপে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছে না বর্তমানে কর্মরতরা। 

জানা গেছে, গত দুই দশকে সিডিএ থেকে অনেক স্থপতি, প্রকৌশলী, পরিকল্পনাবিদ অবসর গ্রহণ করেছেন। চট্টগ্রাম শহরের উন্নয়নে ১৯৯৫ সালের মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা হলেও তা বাস্তবায়নের জন্য পর্যাপ্ত লোকবল নিয়োগ দেওয়া হয়নি। বর্তমানে সিডিএতে আর্কিটেক্ট আছে মাত্র এক জন। দুটি অথরাইজড কমিটির একটিতেও আর্কিটেক্ট নেই। আর্কিটেক্ট ছাড়া অথরাইজড কমিটি কীভাবে প্ল্যান অনুমোদন দেয়—এমন প্রশ্ন উঠেছে। ভবনের নকশা অনুমোদনে অনেক সময় বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। ভবন পরিদর্শক আছে মাত্র তিন জন। ফলে ভবন নির্মাণে নকশার ব্যত্যয় হচ্ছে কি না—তা তদারকি করা যাচ্ছে না। ফলে মহানগরী চট্টগ্রাম ইতিমধ্যেই এক অপরিকল্পিত নগরীতে পরিণত হয়েছে। একসময়ের নান্দনিক শহর ধীরে ধীরে বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে যাচ্ছে।

জানা গেছে, অতীতে প্রতিষ্ঠানটির নিচের দিকে প্রচুর লোকবল নিয়োগ দেওয়া হলেও উপরের দিকে নিয়োগ প্রায় বন্ধই ছিল। অতীতে যারা সিডিএর দায়িত্বে ছিলেন লোকবল নিয়োগের চেয়ে প্রকল্প নেওয়ার দিকেই তাদের বেশি ঝোঁক ছিল। ফলে নগরবাসীকে কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে পারেনি এই প্রতিষ্ঠানটি। গত ২২ বছরে সিডিএ থেকে ১২ জন স্থাপত্য প্রকৌশলী অবসর নিয়েছেন। কিন্তু এক জনও নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ফলে এক জনকে অনেকগুলো প্রকল্পের দায়িত্ব পালন করতে হয়। জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্প তৈরির জন্য কমপক্ষে তিন বছর স্টাডি করা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু মাত্র সাত দিনের মধ্যে তড়িঘড়ি করে এই প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সেনাবাহিনীকে প্রকল্পে যুক্ত করায় প্রকল্পটি আংশিক সাফল্যের মুখ দেখলেও পুরোপুরি সুফল এখনো জনগণ পায়নি। সিডিএর প্ল্যানিং ইউনিটে চিফ টাউন প্ল্যানারের জায়গায় পরিকল্পনাবিদের পরিবর্তে কাজ করছেন প্রকৌশলী। প্ল্যানারের কাজ কখনো আর্কিটেক্ট বা সিভিল ইঞ্জিনিয়ার করতে পারেন না। টাউন প্ল্যানারের ১১টি পদের বিপরীতে কাজ করছেন মাত্র সাত জন। কর্মরত জনশক্তি প্রায় ৩০০ জন। সিডিএতে কর্মরত কোয়ালিফাইড আর্কিটেক্ট আছে এক জন। আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমেও কাজ করানো হয়। প্ল্যান অনুমোদনের বিষয়টি শুধু আর্কিটেক্টের ওপর ন্যস্ত নয়। ঐ বিষয়ে কাজ করেন ইমারত নির্মাণ কমিটি।

সিডিএকে আরও বেশি জনবান্ধব করতে দক্ষ জনবলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল করিম। তিনি জানান, সিডিএতে লোকবল নিয়োগের প্রক্রিয়া অচিরেই শুরু হবে। এ ব্যাপারে আজ (রবিবার) ঢাকায় মন্ত্রণালয়ে বৈঠক করেছি। আমরা শতভাগ আন্তরিকতা দিয়ে চেষ্টা করব, যাতে দক্ষ ও যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া যায়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Shipon tech bd