বাংলাদেশের কিছু এজেন্সি ২ থেকে ৩ ঘণ্টার মধ্যে থাই ই-ভিসা দেওয়ার গ্যারান্টি দিচ্ছে। তবে এই প্রতিশ্রুতি সম্পূর্ণ অসত্য এবং তা অস্বীকার করেছে ঢাকাস্থ রয়েল থাই দূতাবাস। আজকের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কিছু এজেন্সি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এক্ষেত্রে দ্রুতই ই-ভিসা দেওয়ার কথা বলছে, যা দূতাবাসের দৃষ্টি কেড়েছে। দূতাবাস স্পষ্ট করে বলেছে, কোনো এজেন্সিই থাই ই-ভিসার আবেদন দ্রুততার সঙ্গে দেওয়া বা নিশ্চয়তা দিতে পারে না। আবেদন প্রক্রিয়া কঠোর নিয়ম অনুযায়ী পর্যালোচনা হয়, যেখানে অসততাচারী বা বিভ্রান্তিকর পরিষেবা এড়ানো উচিত।
অন্যদিকে, যুক্তরাজ্যের ভিসার জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে জাল কাগজপত্র ব্যবহার করলে ১০ বছর পর্যন্ত ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের শঙ্কা রয়েছে। এ সতর্কবার্তা ব্রিটিশ হাইকমিশন মঙ্গলবার ঢাকায় প্রকাশ করেছে। জানানো হয়েছে, আবেদন করার সময় সবকিছু বৈধ ও সঠিক কাগজপত্র ব্যবহার করা জরুরি। ভুল বা জাল নথিপত্র দিয়ে আবেদন করলে বড় ঝুঁকি রয়েছে।
এছাড়া, যুক্তরাজ্যের কোনো ভিসা বা ই-ট্রাভেল অথরাইজেশন (ইটিএ) কোনওভাবেই গ্যারান্টিযুক্ত নয়। কেউ যদি দাবি করে যে, তারা নিশ্চয়তা দিতে পারবে বা ভিসা নিশ্চিত করে দিতে পারে, তাহলে এটি একটি মোটেই সত্য নয় এবং এটি একটি প্রতারণা। হাইকমিশন আরও জানিয়েছে, ভিসা আবেদন ও মূল্যায়ন সম্পূর্ণরূপে ব্রিটিশ সরকারের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, এবং কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার পক্ষ থেকে বিশেষ প্রভাব বা নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব নয়।
অতএব, সব নাগরিককে অনুরোধ করা হয় যেন তারা ব্রিটিশ সরকারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করেন এবং অফিসিয়াল নীতিমালা অনুযায়ী ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।
Leave a Reply