কাতারের দোহায় পাকিস্তানের জয়ের জন্য ১২৬ রানের লক্ষ্য তোলে বাংলাদেশ। শুরুতে ভালো করে ব্যাটিং, তবে দ্রুতই বেশিরভাগ উইকেট হারায়। রিপন মণ্ডল প্রথম বলেই ইয়াসির খানকে রান আউট করে দেন। পরের ওভারে মেহেরব মোহাম্মদ ফায়েককে শিকার করেন। জুটি গড়ার চেষ্টা করেছিলেন হাজী ঘুরি, কিন্তু জিসান আলমের দুর্দান্ত বোলিংয়ে তাকে দারুণভাবে আটকানো হয়। পাঁচোউইন্ডে গাজী ৯ বলে ৯ রান করে বোল্ড হন। এরপর সাদ মাসুদের উপর দারুণ চাপ সৃষ্টি করেন সোহান, প্রথম পাঁচ বলে চার ও ছক্কা এই ওপেনার। তবে শেষ বলে পুল করতে গিয়ে শর্ট স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে ২৬ রান করে ফিরে যান। পরের ওভারে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনও আউট হন। রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে লেগ বিফোর উইকেটে পড়েন। প্রথম সময়ে অঙ্কনের জন্য রানের খাতা খোলাও কঠিন হয়। তার পর বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর স্পিনার সুফিয়ান মুকিমের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ইনসাইড এজে বোল্ড হন। ১০ বলে মাত্র ২ রানে অপরাজিত থাকেন। এরপর ইয়াসির আলী রাব্বিও আউট হন শর্ট কভারে ইরফান খানের হাতে ক্যাচ দিয়ে। মাহফুজুর রহমান রাব্বি ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ব্যর্থ হন সংখ্যাগরিষ্ঠ, শেষের দিকে রাকিবুল ও মেহেরব কিছুটা আশা জাগান। তবে তাদের জুটি খুব একটা বড় হয়নি। দানিয়ালকে ছক্কা মারতে গিয়ে মেহেরব ১৯ রানে আউট হন, আর রাকিবুল ২৪ রানে ফিরতে হয়। শেষ ওভারে ১২৫ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। ম্যাচ চলাকালে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, যা সুপার ওভারে গড়ায়।
Leave a Reply