সর্বশেষঃ
সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন বর্ষীয়ান অভিনেতা সতীশ শাহ আর নেই রুনা লায়লার সামনে মোহাম্মদ রফির অবিশ্বাস্য সম্মান জয়-মাহির ১৪ বছরের সংসার ভাঙছে শাবনূর: সালমান শাহর মৃত্যুর কারণ আমি জানি না পুণের ফ্ল্যাটে তরুণ অভিনেতা শচীন চাঁদওয়াড়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার বিসিবির চাকরি ছাড়লেন ফিটনেস ট্রেনার নাথান কেলি আফিফের দুর্দান্ত ঘূর্ণিতে আড়াই দিনে খুলনার সহজ জয় খুলনায় ম্যাচ চলাকালে বরিশাল ফিজিও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু লিটন-সাইফদের ব্যর্থতায় হারলো বাংলাদেশ সিরিজের প্রথম ম্যাচ মেসির ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার স্পষ্ট বার্তা
পর্তুগালে বিতর্কিত নির্বাচনি পোস্টার ভাইরাল: ‘এটা বাংলাদেশ নয়’

পর্তুগালে বিতর্কিত নির্বাচনি পোস্টার ভাইরাল: ‘এটা বাংলাদেশ নয়’

পর্তুগালের কট্টর ডানপন্থি নেতা আন্দ্রে ভেনচুরা এবং তার দল শেগার নতুন নির্বাচনি প্রচার এখন সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। মন্তিজো শহরের একটি বাসস্টপে ঝুলানো একটি বিলবোর্ডে বড় ছোট অক্ষরে লেখা ছিল, ‘Isto não é Bangladesh’ অর্থাৎ ‘এটি বাংলাদেশ নয়’। এই বাক্যটি স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। আরও একটি পোস্টারে লেখা ছিল, ‘জিপসিদের আইন মানতে হবে’, যা জেনোফোবিয়া এবং বর্ণবাদী রঙে রঙিন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এই পোস্টার গুলোকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বিতর্ক ছড়িয়েছে। ভেনচুরা নিজে এই পোস্টারগুলোর ছবি তার ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে লিখেছেন, ‘ওরা এরই মধ্যে রাস্তায় নেমে পড়েছে। ১৮ জানুয়ারি আমরা এই দেশের ভাবমূর্তি পরিবর্তন করতে চলেছি। কোনো ভয় নেই!’। এই পোস্টার গুলোর বিতর্কের মাঝে মনোযোগ আকর্ষণ করছে তার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। তবে এই বিতর্কের ব্যাপারে মন্তিজো শহরের মেয়র কার্লোস আলবিনো বলেছেন, ‘যখন বলা হয় আইন মানতে হবে, তখন সবাইকেই মানতেই হবে। এটি কোনো বিশেষ সম্প্রদায় বা দলের জন্য নয়। অভিবাসী হোক বা কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য—সবাই আইন মানতে বাধ্য। আন্ড্রে ভেনচুরার মতো ব্যক্তিরাও আইন মানার বাইরে নয়। জেনোফোবিয়া ও বর্ণবাদ অপরাধ, আর তা আমরা মেনে নিচ্ছি না।’ মেয়র আরও উল্লেখ করেছেন, ‘এটি আইন লঙ্ঘনের শামিল, তাই নগর পরিষদ সরাসরি অভিযোগ দায়ের করবে না। তবে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মাধ্যমে তদন্ত করা হবে।’ অন্যদিকে, বাংলাদেশি সাংবাদিক ফারিদ পাটোয়ারি বলছেন, ‘অনলাইনে এই ধরনের বার্তা দেখা যায়, কিন্তু রাস্তায় পোস্টার থাকলে তার প্রভাব অনেক বেশি। এটি সহিংসতার আশঙ্কাও বাড়ায়। পর্তুগাল সাধারণত শান্তিপূর্ণ ও আতিথেয় দেশ হিসেবে পরিচিত, তবে এই ধরনের বার্তা প্রকাশ পেলে আমাদের উচিত দ্রুত প্রতিরোধ গড়ে তোলা।’ বাংলাদেশের দূতাবাস সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিবৃতিতে প্রবাসীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে এবং বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। উল্লেখ্য, পর্তুগালে ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকায় রয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রেবেলো দে সুসা, লুইস মার্কেস মেন্ডেস, আন্তোনিও হোসে সেগুরো, আন্দ্রে ভেনচুরা, হেনরিক গোভেইয়া, জোয়াও কোট্রিম দে ফিগেইরেডো, আন্তোনিও ফিলিপ, ক্যাটারিনা মার্টিনস ও হোর্ঝে পিন্টোসহ আরও বেশ কয়েকজন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Shipon tech bd