বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) থেকে মহামান্য ফিটনেস ট্রেনার নাথান কেলি তার দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। ব্যক্তিগত কারণের কারণে তিনি বিসিবির সঙ্গে তার সম্পর্ক শেষ করেছেন, এটি নিশ্চিত করেছে বিসিবি ও ক্রিকেট অপারেশনস বিভাগের সদস্যরা।
নাথান কেলি গত বছর এপ্রিল মাসে দুই বছরের চুক্তিতে বাংলাদেশে যোগ দিয়েছিলেন। তবে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তিনি পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। পরিবারকে আরও বেশি সময় দেয়ার জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। সোমবার দুপুর ১টায় বিসিবিকে আনুষ্ঠানিক মেইল পাঠিয়ে নিজের অবসরের খবর নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, এশিয়া কাপের সময়কার একটি পিতৃত্বকালীন ছুটিও নিয়েছিলেন কেলি। ২৪ সেপ্টেম্বর তার বাবা হওয়ার পর তিনি জাতীয় দলের সঙ্গে আর যোগ দেননি। এর ফলে, আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজটি ও দেশসেরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে তাকে পাওয়া যায়নি। এই সময় দেশের জন্য ফিটনেস ট্রেনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ইফতেখার রহমান।
নাথান কেলি যখন বাংলাদেশে এসেছিলেন, তখন তিনি ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরীক্ষায় কিছু নতুনত্ব এনেছেন। প্রচলিত বিপ এবং ইয়ো-ইয়ো টেস্টের বাইরে তিনি চালু করেছিলেন ‘টাইম ট্রায়াল’। এই পরীক্ষায় ক্রিকেটারদের চার চক্করে ১,৬০০ মিটার দৌড় সম্পন্ন করতে হত এবং সময় অনুযায়ী পাস বা ফেল নির্ধারিত হতো। এশিয়া কাপের আগে ও ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির টুর্নামেন্ট শুরুর আগে অনেক ক্রিকেটার এই পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।
নাথান কেলি এই পরীক্ষাগুলো সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছিলেন। এর আগে, তিনি অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস দলের ফিটনেস ট্রেনার হিসেবে কাজ করেছেন এবং একটি রাগবি দলের ফিটনেস ট্রেনার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর এই যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিল।
Leave a Reply