সর্বশেষঃ
সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন ভারত থেকে জাল টাকা প্রবেশের খবরের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সতর্কতা সোনার দাম আরও বৃদ্ধির সঙ্গে ভরি ছাড়াল ২ লাখ ১৭ হাজার টাকার বেশি অক্টোবরের ১৮ দিনে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯ হাজার ১৬৩ কোটি টাকা কার্গো টার্মিনালের অগ্নিকাণ্ডে রপ্তানি খাতে ক্ষতি ১২ হাজার কোটি টাকা: ইএবি বাংলাদেশে ৫০ হাজারের বেশি মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট জুয়া ও প্রতারণার জন্য স্থগিত বিমানবন্দরে আগুন: হাসিনার নাশকতার অংশবাদী আমান মির্জা ফখরুলের দাবি: অন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকায় যেতে হবে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর কঠোর ঘোষণা: জামায়াতের ক্ষমতায় যাওয়ার প্রশ্নই নেই এনসিপির বিরুদ্ধে জামায়াত নেতার কড়া মন্তব্য ও কঠোর প্রতিক্রিয়া বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হলেন হুমায়ুন কবির
15 সেনা কর্মকর্তাকে সাবজেলে রাখবে বাংলাদেশ সরকার, জানালেন ব্যারিস্টার সারোয়ার

15 সেনা কর্মকর্তাকে সাবজেলে রাখবে বাংলাদেশ সরকার, জানালেন ব্যারিস্টার সারোয়ার

বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকার শাসনকালীন সময়ে সংঘটিত গুম, অপহরণ, নির্যাতন, হত্যাকাণ্ড এবং জুলাইয়ে ঘটে যাওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি পৃথক মামলায় অভিযুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে রাজধানীর ঢাকা সেনানিবাসে নির্মিত বিশেষ সাবজেলে রাখা হবে। এটি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন, যিনি এই কর্মকর্তাদের পক্ষের আইনজীবী।

তিনি বলেন, অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তারা তাদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে স্বেচ্ছায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল নাগাদ তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়ার পর এই আয়োজনে জরুরি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ব্যারিস্টার সারোয়ার জানান, ৮ অক্টোবর তিনটি মামলায় ট্রাইব্যুনাল তিনটি আলাদা আদেশ জারি করে, যার ফলে সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা issued হয়। এর পরে সেনা কর্তৃপক্ষ সেনা সদর দপ্তরে তাদের হেফাজত নেয়। আজ তারা যথাযথ আইনের পথে নিজ উদ্যোগে আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করেছেন।

তিনি আরও বলেন, আদালত তাদের ওকালতনামা স্বাক্ষর এবং তিনটি আবেদন দাখিলের অনুমতি দিয়েছে। এর মধ্যে একটি জামিনের আবেদন, একটি প্রিভিলেজ কমিউনিকেশন ও আরেকটি সাবজেলে রাখার অনুরোধ।

সাবজেল প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার সারোয়ার উল্লেখ করেন, পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি অনুযায়ী যথাযথ সিদ্ধান্ত নিবে। পলাতক আসামিদের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য সময় নির্ধারিত রয়েছে। পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে ২০ নভেম্বর। আপাতত তাদের সেনানিবাসের নির্ধারিত সাবজেলেই রাখা হবে।

তিনি ব্যাখ্যা করেন, এটি গ্রেপ্তার নয়, বরং নিজস্ব ইচ্ছায় আদালতে উপস্থিত হওয়ার শর্তে আত্মসমর্পণ। সকালেই তারা আদালতে হাজির হয়েছেন, পুলিশের কোনও পক্ষ থেকে কোনও গ্রেপ্তারি নির্দেশ দেয়া হয়নি। নিরাপত্তার জন্য একসাথে একটি গাড়িতে আনা হয়। এটি সম্পূর্ণ আইনের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের অংশ।

শনিবার সকাল ৮টার পর এই তিন মামলার শুনানি হয়। প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এরপর আদালত ১৫ কর্মকর্তা ওকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার, সদস্য বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

কারাগারে পাঠানো কর্মকর্তাদের মধ্যে থাকছেন র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, মো. কামরুল হাসান, মো. মাহাবুব আলম, কে. এম. আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন এবং কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (অবসরকালীন)।

তাছাড়া, র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, মো. সারওয়ার বিন কাশেম, মো. রেদোয়ানুল ইসলাম এবং বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত-বিন-আলমও কারাগারে পাঠানো হয়।

অতিরিক্তভাবে, ট্রাইব্যুনাল ডিজিএফআই’র সাবেক তিন পরিচালক, মেজর জেনারেল শেখ মো. সরোয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকীকেও জামিন অথবা জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Shipon tech bd