সর্বশেষঃ
সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন পুণের ফ্ল্যাট থেকে তরুণ অভিনেতার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার শাবনূর বলেন, সালমান শাহ কীভাবে মারা গেছেন তা আমি জানি না অভিনেতা হাসান মাসুদ গুরুতর অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি চেন্নাইয়ে রজনীকান্ত ও ধানুশের বাড়িতে বোমা হামলার হুমকি, পুলিশ তৎপর সালমান শাহ হত্যা মামলায় সামিরার মায়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা অস্ট্রেলিয়ায় ক্রিকেট বলের আঘাতে ১৭ বছর বয়সী ক্রিকেটারের মৃত্যু মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসলেন শ্রেয়াস আইয়ার খুলনায় সাঁতার প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের জন্য আকাশে ফুটবল স্টেডিয়াম নির্মাণ করছে সৌদি আরব অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ
ট্রাম্পের নতুন পদক্ষেপ: দক্ষ বিদেশি কর্মীদের জন্য ভিসা ফি বাড়ালেন অর্ধেক লাখ ডলার

ট্রাম্পের নতুন পদক্ষেপ: দক্ষ বিদেশি কর্মীদের জন্য ভিসা ফি বাড়ালেন অর্ধেক লাখ ডলার

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন নির্বাহী আদেশে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে দক্ষ বিদেশি কর্মীদের জন্য জনপ্রিয় এইচ-১বি ভিসার জন্য আবেদনকারীদের কাছ থেকে ১ লাখ ডলার ফি আদায় করা হবে। শুক্রবার জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এ ফি আরোপের মূল উদ্দেশ্য হলো এইচ-১বি ভিসার অপব্যবহার কমানো এবং সুরক্ষিত করে দেশীয় কর্মসংস্থান। এই নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ফি না দিলে ভিসা প্রবেশের অনুমতি নাও পেতে পারেন।

বহু সমালোচক দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করেছেন যে এইচ-১বি ভিসা মার্কিন চাকরির বাজারে হুমকি সৃষ্টি করছে, যেখানে কম মেধাবী ও কম অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কর্মীদের চাকরি চলে যাচ্ছে। অন্যদিকে, এর পক্ষে যুক্তি দেওয়া হয় যে প্রোগ্রামটি বৈশ্বিক মেধাবী কর্মীদের আমেরিকায় আনতে সাহায্য করে দেশর অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে অবদান রাখে।

এছাড়াও, ট্রাম্প একটি নতুন ‘গোল্ড কার্ড’ চালু করেছেন, যার মাধ্যমে নির্দিষ্ট কিছু অভিবাসী দ্রুত ভিসা পেতে পারবেন। এই স্কিমে প্রায় ১০ লাখ পাউন্ডের বেশি ফি দিয়ে দ্রুত ভিসার সুবিধা লাভ করা যাবে, যা দেশের অভিবাসন নীতিতে একধরনের পরিবর্তন সাধন করছে।

সেদিন হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের পাশে ছিলেন মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লাটনিক, যিনি বলেন, ‘প্রতি বছর এইচ-১বি ভিসার জন্য ১ লাখ ডলার ফি ধরা হয়েছে। বড় কোম্পানিগুলো এতে আগ্রহ দেখিয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আপনি যদি কাউকে প্রশিক্ষণ দিতে চান, তাহলে আমাদের দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য স্নাতক তরুণদের প্রশিক্ষণ দিন। বিদেশিরা এসে আমাদের কর্মসংস্থানে হস্তক্ষেপ না করে, দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করুন।’

এইচ-১বি ভিসার সংখ্যা ২০০৪ সাল থেকে বার্ষিক ৮৫ হাজারে সীমাবদ্ধ ছিল। এত দিন বিভিন্ন প্রশাসনিক ফি মিলিয়ে প্রতি ভিসার জন্য প্রায় ১,৫০০ ডলার চার্জ নেওয়া হতো। মার্কিন অভিবাসন দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আগামী অর্থবছরে এই ভিসার আবেদন প্রায় ৩ লাখ ৫৯ হাজারে নেমে এসেছে, যা গত চার বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। এবারই প্রথম এই সংখ্যাটা এত কমে দাঁড়িয়েছে। সর্বোচ্চ সুবিধাভোগী ছিল অ্যামাজন, টাটা, মাইক্রোসফট, মেটা, অ্যাপল এবং গুগলের মতো কোম্পানিগুলো।

ওয়াটসন ইমিগ্রেশন ল’র প্রতিষ্ঠাতা আইনজীবী তাহমিনা ওয়াটসন বিবিসিকে বলেন, ‘নতুন এই ফি অনেকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, কারণ ছোট ও মাঝারি কোম্পানিগুলোর জন্য কর্মী পাওয়া খুব কঠিন হয়ে পড়বে।’

অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের এই বৈপরীত্যের কারণে ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ অনেকের মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। সমর্থকরা এই ফি বাড়ানোকে দেশের স্বার্থে প্রয়োজনীয় বলে মনে করেন, তবে প্রতিদ্বন্দ্বীরা একে কর্মসংস্থান পরিস্থিতিকে আরও দুর্বিষহ করে তুলছে বলে মন্তব্য করেছেন।

২০১৭ সালে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের শুরুতে, এইচ-১বি ভিসার আবেদন প্রক্রিয়ায় বাড়তি নজরদারি ও কঠোরতা আনেন, যা ২০১৮ সালে আবেদন প্রত্যাখ্যানের হার ২৪ শতাংশে পৌঁছে দেয়। এটি পূর্ববর্তী ওবামার সময়ের ৫ থেকে ৮ শতাংশের তুলনায় অনেক বেশি, আর জো বাইডেনের সময় তা ২ থেকে ৪ শতাংশের মধ্যে স্থিত রয়েছে।

নতুন বিধিনিষেধের ফলে ভারতসহ বিভিন্ন দেশে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, কারণ এই দেশগুলো থেকে সর্বাধিক সংখ্যক এই ধরনের ভিসার আবেদন আসে। এ সব পদক্ষেপ দেশটির অভিবাসন নীতিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন নিয়ে আসছে, যা ভবিষ্যতে বৈধ ও অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা এবং প্রক্রিয়া প্রভাবিত করবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Shipon tech bd