সর্বশেষঃ
সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন অপমানে সাহসী ফাতিমার মাথায় উঠল মিস ইউনিভার্সের মুকুট মাহিয়া মাহির আবেগী পোস্ট: আমার রূহ ভারতে, আমি আমেরিকায় সিনেমা বানিয়ে এত টাকা পাননি, ইউটিউবে বিপুল আয় ফারাহ খানের নির্মাতা শেখ নজরুল ইসলাম মারা গেছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা ধর্মেন্দ্র আর নেই পাকিস্তানের প্রথম ব্যাটার হিসেবে এক বছরে ১০০ ছক্কার রেকর্ড চমক রেখে আয়ারল্যান্ড সিরিজের টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা বাংলাদেশের বাংলাদেশের কাছে সুপার ওভারে হেরে পাকিস্তানের ফাইনাল স্বপ্ন ভঙ্গ মেসির এক গোল ও তিন অ্যাসিস্টে মিয়ামির শিরোপার কাছে পৌঁছানো বাংলাদেশের দুর্দান্ত জয়ে ব্রুনেইকে ৮-০ গোলে হারালো অনূর্ধ্ব-১৭ দল
আকাশের তারার মতো সাংবাদিক নিবর্তনের ধারা: অ্যাটর্নি জেনারেল

আকাশের তারার মতো সাংবাদিক নিবর্তনের ধারা: অ্যাটর্নি জেনারেল

দেশের আইনগুলো সাংবাদিক স্বাধিকার তথা মুক্তির পক্ষে নয়—এটা স্পষ্ট করে বলেছেন দেশের প্রধান আইনমন্ত্রী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, রাষ্ট্র বিভিন্ন পথ করে রেখেছে সাংবাদিকদের নিবর্তন ও নিয়ন্ত্রণের জন্য। এই পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘আকাশের অনেক তারার মতো আইনের ধারা রয়েছে, যা দিয়ে সাংবাদিকদের উপর নির্যাতন চালানো হয়।’ সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘বেঙল কনভারসেশন ২০২৫’ সম্মেলনের তৃতীয় দিনে এক বক্তৃতায় এই কথা বলেন তিনি। তিনি মূলত ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সম্পর্কিত প্রতিবেদন: ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা’ শীর্ষক পর্বে অংশগ্রহণ করেন। অ্যাটর্নি জেনারেল পূর্ববর্তী সরকারের সময়ে নিষেধাজ্ঞামূলক আইনের ধারা এবং তার প্রয়োগের উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, ক্ষমতা যেই থাকুক না কেন, সবসময়ই সরকারের মনোভাব থাকে সাংবাদিকদের দমন করার। তিনি উল্লেখ করেন, দেশকে উন্নত ও মুক্ত করতে হলে কেবল আইন পরিবর্তনই নয়, দেশের মানসিকতা ও মনোভাবও পরিবর্তন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা বাতিলের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে, তবে শুধুমাত্র আইন পরিবর্তন যথেষ্ট নয়। এর জন্য দরকার রাষ্ট্রের সাংস্কৃতিক ও মানসিক পরিবর্তন। তিনি ব্যাখ্যা করেন, শুধু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করলে সমাধান হবে না, এব্যাপারে আরও গভীর আলোচনা ও পরিবর্তনের প্রয়োজন। অ্যাটর্নি জেনারেল মনে করেন, দুর্নীতি, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনাগুলো কমে গেছে, তবে আরও উন্নতি দরকার। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, পরবর্তী সরকার সকল নিষেধাজ্ঞা ও নিবর্তনমূলক আইনের পথ থেকে ফিরে আসবে এবং উন্নত গণমাধ্যম সংস্কৃতি গড়ে তুলবে। এই আলোচনায় আরও অংশ নেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সারা হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক সাজ্জাদ সিদ্দিকী এবং ট্রায়াল ওয়াচের জ্যেষ্ঠ প্রোগ্রাম ম্যানেজার মানেকা খান্না।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Shipon tech bd