সর্বশেষঃ
সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী ভদ্রা বসু মারা গেছেন অভিনেত্রী মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি মেহজাবীন মুখ খুলেছেন প্রতারণা ও প্রাণনাশের হুমকি মামলায় অবশেষে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন মেহজাবীন শাওনের দাবি, বুলডোজার নিয়ে যাওয়ার দলকে ‘রাজাকার’ আখ্যা সোহানের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড, ৫৪ বলেই জিতে গেছে বাংলাদেশ আসিফের মন্তব্যের জন্য বাফুফের কাছে বিসিবির দুঃখ প্রকাশ ৯৩ রানে অলআউট ভারত, তিন দিনে ইডেনে লজ্জাজনক হার ‘আমি স্বৈরাচারী নই’— জ্যোতির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জবাব দিলেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল বিপিএল থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করলেন
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খাঁন কাদেরের মৃত্যুদণ্ড ঘোষনা

শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খাঁন কাদেরের মৃত্যুদণ্ড ঘোষনা

বিশেষ আদালত সম্প্রতি এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে গণহত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছেন বর্তমানের নির্বাসিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কাদেরকে। এই মামলার বিচারবিষয়ক বিষয়গুলো বিশদভাবে পর্যবেক্ষণ করে, ২৪ জুলাই-আগস্টের সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য তাদের দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করা হয়। এই রায় বাংলায় ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

বিচারকরা আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে রায়ের প্রথম অংশ পড়ে শোনান। তাঁরা ৪৫৩ পৃষ্ঠার মামলার ডকুমেন্টের ছয়টি অধ্যায় বিশ্লেষণ করেন। ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার নেতৃত্বে তিন সদস্যের এক বিচারপতি প্যানেল এই রায় দেয়। এরপর দুপুর ২টায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রায় পড়া সম্পন্ন হয়।

বিশেষ এই বিচারে যারা দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, তার মধ্যে রয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কাদের। তবে তারা বিভিন্ন কারণে এখন পলাতক থাকলেও মামলার অন্য এক গুরুত্বপূর্ণ আসামি সাবেক আইজিপি মামুন প্রায় এক বছর ধরে তার কারগারে আছেন। তিনি রাজসাক্ষ্য দিয়েছিলেন এবং এর ফলে তার শাস্তির ব্যাপারে ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্তে কিছুটা সুবিধা হয়েছে। প্রসিকিউশন এই দুজনের সর্বোচ্চ সাজা চেয়েছেন।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের বিষয়, এর মধ্যে রয়েছে উসকানি, মারণাস্ত্র ব্যবহার, আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড, চানখারপুলে হত্যাযজ্ঞ ও আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো। মোট অভিযোগপত্রের পৃষ্ঠা সংখ্যা প্রায় আট হাজার সাতশ’। এতে অন্তর্ভুক্ত তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠা, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচশ’ পৃষ্ঠা এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার সাতশ’ বিশ পৃষ্ঠা। এতে মোট সাক্ষীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৪ জন।

প্রথম দিন থেকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্টের আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ নজরদারি চলছে। গত ১৩ নভেম্বর থেকে রায় ঘোষণা অনুষ্ঠানের দিনকে কেন্দ্র করে যান চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়।

সবশেষে, এই মামলার রায় ঘোষণার জন্য ১৩ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার প্রধানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই সিদ্ধান্ত নেয়। রায়ের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ২৮ কার্যদিবসের মধ্যে ৫৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য-প্রমাণ সম্পূর্ণ হয়েছে। পাশাপাশি, প্রসিকিউশন ও স্টেটের পক্ষে যুক্তিতর্ক চলে মোট নয় দিন। এসব প্রক্রিয়ার শেষে রাষ্ট্রের আইনজীবীরা সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য দাবি করেন।

অন্যদিকে, মামলার একটি গুরুত্বপূর্ণ আসামি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন, তবে তার খালাসের জন্য বেশ কিছু আইনি দপ্তর আবেদন করেছেন। আইনজীবীরা মনে করেন, এই মামলার সব দোষীদেরই যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত হবে। তবে, পুরো প্রক্রিয়া আইনি নিয়মবলে চলবে এবং সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Shipon tech bd