খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোঃ ফিরোজ সরকার বলেছেন, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ বিনোদনের জন্য পরিচ্ছন্ন পরিবেশের গুরুত্ব অপরিসীম। পরিবেশ রক্ষা করে একটি স্বচ্ছ, প্রাণবন্ত নগরী গড়ে তুললে মানে শুধু পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়বে না, পাশাপাশি স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ট্রলার চালকদের আয়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে। তিনি এ কথা বলেন মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর ৭নং ঘাট এলাকায় প্লাস্টিক দূষণ রোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আয়োজিত পরিচ্ছন্নতা অভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায়। এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) ও খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) যৌথভাবে, ‘সাসটেইন্যাবল ক্যাপাসিটি বিল্ডিং টু রিডিউস ইরিভার্সিবল পলুশন’ (এসসিআইপি) প্রকল্পের আওতায়। পুলিশি উদ্যোগে এই ধরনের কার্যক্রমের মাধ্যমে নগরবাসীর মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো এবং পরিবেশের প্রতি সচেতনতা জোরদার করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কেসিসি প্রশাসক উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী, ট্রলার চালকদের পরিবেশের জন্য সচেতন হওয়ার পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের উচিত বিদ্যুতের অপচয়, প্লাস্টিকের সঠিক ব্যবহার এবং সঠিকভাবে বর্জ্য ফেলা। যদি এলাকাবাসী এই বিষয়গুলোয় সচেতন হন, তাহলে নগরীর পরিবেশের উন্নতি ত্বরান্বিত হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুয়েটের প্রফেসর ড. কাজী হামিদুল বারী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শরীফ আসিফ রহমান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা রহিমা সুলতানা বুশরা, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কোহিনুর জাহান, প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবির উল জব্বার,সহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও সচেতন সংগঠনের সদস্যরা। এড. মাসুম বিল্লাহ, শেখ ইনজামামুল হকসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রশাসক মোঃ ফিরোজ সরকার বলেন, বর্জ্য সংরক্ষণ ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য স্থানীয় ব্যবসায়ীদের বিন সরবরাহ করা হয়েছে। তিনি নির্দেশ দেন, প্রতিদিন একটি ভ্যানের মাধ্যমে বর্জ্য সংগ্রহ করা হবে এবং যদি বিনের যথাযথ ব্যবহার না হয় বা অব্যবহৃত থাকে, তাহলে তার বিরোধী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি, তিনি বলেন, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কোনো কার্যকলাপের खिलाफ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং সবাইকে পরিবেশের প্রতি দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান।
Leave a Reply