সর্বশেষঃ
সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তানজিন তিশার পক্ষ থেকে বিস্তারিত বিবৃতি পুরুষ বাউলরা বিছানায় ডাকে, সাড়া দিলে গান পাওয়া যায়: নারী বাউল শিল্পীর অভিযোগ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জনপ্রিয় টিকটকার ববি গ্রেভস নায়িকা পপি’কে আইনি নোটিশ পাঠানো হলো ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর পর প্রথমবার মুখ খুললেন হেমা মালিনী বিপিএলের আসন্ন মৌসুম শুরু হবে ১৯ ডিসেম্বর, ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১৬ জানুয়ারি বিপিএল নিলামে পাথিরানা, চার্লস ও মেন্ডিসসহ ২৫০ বিদেশি ক্রিকেটার বিপিএলের নিলামে ৩ ভারতীয়, সুইডেনের এক ক্রিকেটার বিপিএল: নোয়াখালী এক্সপ্রেসে সৌম্য-হাসান, কোচ সুজন হৃদয়ের লড়াইয়ে মরিয়া বাংলাদেশের প্রতিরোধ, তবে শেষ হাসি আয়ারল্যান্ডের
নিম্নচাপে উত্তাল বঙ্গোপসাগর, ঘাটে ফিরেছে ইলিশ শূন্য শত শত ট্রলার

নিম্নচাপে উত্তাল বঙ্গোপসাগর, ঘাটে ফিরেছে ইলিশ শূন্য শত শত ট্রলার

উত্তাল বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপে দেশে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। ঘূর্ণিনীর কারণে সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে ইলিশে ভরপুর বঙ্গোপসাগর এখন ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশের মুখোমুখি। গভীর নি¤œচাপের প্রভাবে প্রবল ঝড়ো বাতাস শুরু হওয়ায় সাগরে মাছ ধরা কর্মক্ষম ট্রলারগুলো দ্রুত কূলে ফিরে আসতে শুরু করে। বুধবার বিকেল থেকে শুরু হয়ে রাতে বাগেরহাটের শরণখোলার শতাধিক বড় ট্রলার, যারা ইলিশ শিকার করছিল, তারা নিরাপদে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে পৌঁছে গেছে। ছোটবড় মিলিয়ে আরো একশোটির মতো ট্রলারও এখন পথে, যারা দ্রুত ঘাটে ফিরবে বলে প্রত্যাশা করছে মাছের আকাল ও আবহাওয়ার কারণে। এই পরিস্থিতিতে অতীতের মতো ইলিশ ধরা সম্ভব না হওয়ায়, জেলেরা এবং মাছ ব্যবসায়ীরা হতাশায় ভুগছেন। সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হলো, এই মুহূর্তে প্রচুর ইলিশ থাকলেও আবহাওয়ার কারণে অনেক ট্রলারই লাইসেন্সের আওতায় এসে চলে আসছে। বিশ্লেষকদের ধারনা, এবারের বৈরি আবহাওয়ার কারণে অনেক ট্রলারই এই ট্রিপে মাছ ধরতে পারেনি বা খুব কম মাছ পেয়েছে, ফলে কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। জানাজানি হচ্ছে, এক সপ্তাহ আগে শেষ ট্রিপে অনেক জেলে অনিশ্চিত আশা নিয়ে সাগরে পাড়ি দিয়েছিলেন, কিন্তু মেঘের রোষে, ঝোড়ো বাতাসে তাদের মাছ ধরা একপ্রকার অসম্ভব হয়ে পড়ে। বুধবার সকাল থেকে শুরু হওয়া প্রবল ঝড়ের কারণে জেলেরা দ্রুত জাল তুলে সাগর থেকে উঠে আসে। বেশিরভাগ ট্রলার আজ বা কাল কূলে ফিরে আসবে বলে জানিয়েছেন সংঘটিত ট্রলার মালিক ও আড়ৎদাররা। শরণখোলার বড় ট্রলারগুলো, যেগুলো গভীর সাগরে মাছ ধরতে পাঠানো হয়, বেশিরভাগই এ বার ধরা পড়েনি। অন্যদিকে, ছোট জালের ট্রলারগুলোতে ইলিশের উপস্থিতি দেখা গেছে, যা বলে মনে করা হচ্ছে লাভজনক হতে পারে। শরণখোলা সমুদ্রগামী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ আবুল হোসেন বলেছেন, এই বছর ইলিশের উপস্থিতি তেমন নেই, তাই বেশিরভাগ ট্রলার ও আড়ৎদার ক্ষতির মুখোমুখি। আজ বা কাল ফিরছে ট্রলারগুলো, কিন্তু নানা কারণে অধিকাংশেরই চালান মধুর ফল দিতে পারছে না। মাতৃ ইলিশ রক্ষা প্রকল্পের আওতায় এই শনিবার থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ ধরা, মজুদ ও বিপণনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে, বলে জানান শরণখোলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা অঞ্জন সরকার। জানানো হয়, শরণখোলায় বর্তমানে ৬৮০০ এর বেশি নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন, যার মধ্যে ৪৫০০ জন ইলিশ মাছ ধরা নিয়ে নিবিড় কাজ করেন। নিষেধাজ্ঞার এই সময়ে প্রত্যেক জেলেকে ২৫ কেজি করে রিচার্জভিত্তিক চাল দেওয়া হচ্ছে, যাতে তারা অসুবিধায় না পড়েন। ফলে সরকারি এই পদক্ষেপে মাছ প্রজনন ও আহরণ বাধা করা সম্ভব হলে ভবিষ্যতে মাছের সরবরাহের ওপর প্রভাব পড়বে বলে আশা করছে প্রশাসন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Shipon tech bd