সম্প্রতি তানজিন তিশা নতুন সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন। তিনি ইতিমধ্যে তার প্রথম সিনেমার শুটিং শুরু করেছেন। তবে এর মধ্যেই তিনি নানা ধরনের অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন। দুটি ফ্যাশন হাউসের প্রতারণার অভিযোগের পর এবার ভারতীয় এক প্রযোজকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছেন তিশা। প্রযোজক শরীফ খানের দাবি, তিশা তার কাছ থেকে প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন। এই পরিস্থিতিতে সামাজিক মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে তিশা একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছেন।
তিশা ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেছেন, “সাম্প্রতিক সময়ে আমি ভারতের পরিচালক এম এন রাজের সঙ্গে ‘ভালোবাসার মরশুম’ সিনেমা করার পরিকল্পনা করি। তবে এই প্রসঙ্গে কিছু ভুল তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে। বিষয়টি আমার নজরে এসেছে এবং এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও রটানো হচ্ছে। আমি যখন এই সিনেমার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলাম, তখন আমি আমার আইনজীবীর মাধ্যমে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেছিলাম। সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ ছিল, আমার বিদেশ ভ্রমণের সমস্ত দায়িত্ব ডিরেক্টর এবং প্রডিউসারের। এর মধ্যে ভিসা, ফ্লাইটের টিকিট, থাকা-খাওয়ার খরচ তাদের বহন করতে হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, তারা আমার ভিসা করানো সম্ভব করে না। আমি ব্যক্তিগতভাবেও প্রচেষ্টা করেছি, কিন্তু ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারেনি।
ভিসা জটিলতার জন্য নির্মাতাদের দায়ী করে তিশা বলেন, ‘ভিসা-সংক্রান্ত জটিলতা চুক্তিপত্র অনুযায়ী ডিরেক্টরের দায়িত্ব, তাই এ ব্যাপারে আমার কোনো দোষ হতে পারে না। এটি ডিরেক্টরের ব্যর্থতা। আমি দু’মাস ধরে ভিসার জন্য অপেক্ষা করেছি, কিন্তু ভিসা হয়নি। এর মধ্যে তারা অন্য একজনকে minha জন্য চুক্তিবদ্ধ করে অভিনয় করান। আমি অন্য একটি দেশের একটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছি, যার শুটিং বর্তমানে চলছে। এই সিনেমা আমার পেশাগত সম্মানের বিষয়, যা আমি কখনোই নষ্ট করতে চাইনি। কিন্তু ডিরেক্টর শিডিউল অনুযায়ী কাজ শুরু করতে না পেরে এবং অন্য কাউকে চুক্তিবদ্ধ করে নেয়ার কারণে আমাকে সেখান থেকে সরে আসতে হয়েছে।
প্রযোজক শরীফ খানের বিরুদ্ধে অভিযোগে তিশা বলেন, ‘তিনি একবার আমাকে বলছেন, এক-তৃতীয়াংশ টাকা ফেরত দিন, আবার অন্য সময় বলছেন কিছু টাকা ফেরত দিলেই হবে। সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে আমার ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করছেন, যা এক ধরণের অপচেষ্টা।’
তিশা আরও লিখেছেন, ‘আমার চুক্তিপত্রে কোনও শর্ত নেই যে, ডিরেক্টরের দোষের কারণে আমি টাকা ফেরত দিতে বাধ্য থাকবো। আমি আইন মান্য মানুষ। যদি তারা প্রমাণ করতে পারেন যে আমাকে টাকা ফেরত দিতে হবে এবং আদালত এমন নির্দেশ দেয়, আমি অবশ্যই তা মানতে প্রস্তুত।’
Leave a Reply