মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারো ভারতের শুল্ক নীতি নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ভারতের শুল্ক নীতি আমাদেরকে অর্থনৈতিকভাবে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে, যেন তারা আমাদের হত্যা করছে। এর মধ্য দিয়ে বোঝা যাচ্ছে, বর্তমানে দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কের জটিলতা কত বৃদ্ধি পেয়েছে। নিজেদের পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ট্রাম্প ভারতের বিরুদ্ধে এই মন্তব্য করেছেন যখন দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও শুল্ক বিষয়ে উত্তেজনা বাড়ছে। খবর এএনডিটিভির।
মঙ্গলবার এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্কট জেনিংস রেডিও শোতে বলেছেন, ভারতের বিরুদ্ধে শুল্ক আরোপের মাধ্যমে তারা আমাদের বিপদে ফেলেছে। চীন যতই শুল্ক আরোপ করুক, ভারতের কাছ থেকে তুলনামূলকভাবে বেশি শুল্ক নেওয়ার কারণে তারা আমাদেরকে “हত্যা” করছে—অর্থাৎ আমাদেরকে হত্যা করছে। ব্রাজিলের কথাও তিনি উল্লেখ করেছেন।
ট্রাম্প দাবী করেছেন, শুল্কের বিষয়টি তিনি একেবারে ভালো মতো বুঝতে পারেন। তিনি বলেন, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারত থেকে শুল্ক আরও কমানোর প্রস্তাব দিয়েছিল, তখন ভারতই দ্রুত শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের ক্ষতি করেছে।
গোটা বিশ্বের মধ্যে ভারতের শুল্ক সবচেয়ে বেশি—৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে রাশিয়ার কাছ থেকে কেনা তেলের জন্য অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক। ট্রাম্প এই শুল্ক আরোপকে ‘অন্যায্য ও অযৌক্তিক’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন।
তার ভাষ্য, ভারতের এত বেশি শুল্ক আরোপের কারণ হলো, আমরা যদি শুল্ক না করতাম, তখন তারা আমাদের এখনকার মতো প্রস্তাব দিত না। তাই শুল্ক অপরিহার্য, যাতে আমরা অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী থাকি। তিনি আরও বলেছেন, আমাদের কঠোর অবস্থানে থাকাটাই একমাত্র সমাধান।
এর আগে, ট্রাম্প বলেছেন, দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক এখনো একপাক্ষিক। তিনি এটাকে ‘একপাক্ষিক বিপর্যয়’ ও বলে বর্ণনা করেছেন। ট্রাম্পের হিসেবে, এখন ভারত শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দিলেও, এই প্রস্তাব দেরিতে এসেছে এবং এটা ইতিবাচক নয়।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের একটি আপিল আদালত ট্রাম্পের আরোপ করা শুল্ককে незакон বলে রায় দিয়েছে। এর জবাবে ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই রায়ผิดজ্ঞানে দেওয়া হয়েছে, কারণ তারা জানে, চূড়ান্তভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই এগিয়ে থাকবো।
উল্লেখ্য, ভারত বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম শুল্ক দিয়ে থাকে, যেখানে মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এর মধ্যে রাশিয়া থেকে কেনা তেলের উপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্কও অন্তর্ভুক্ত। যুক্তরাষ্ট্রের এই শুল্কের বিরুদ্ধে ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এগুলো ‘অন্যায্য ও অযৌক্তিক’।
Leave a Reply