সর্বশেষঃ
সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন শাকিবের ‘পাইলট’ লুকে নেট মাধ্যমে শোরগোল শুটিং শেষে চেনা যাচ্ছে না সালমান খান, দর্শকদের বিস্ময় ইডেনের ছাত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের ছয় মাস পরে নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনয়ন হলিউড নির্মাতা রব রেইনারসহ স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার অভিনব পোশাকে জয়া আহসানের চমকপ্রদ উপস্থিতি মেসির জন্য ক্ষমা চাইলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অ্যাশিয়া কাপের মিশন শুরুতেই রেকর্ডের পর রেকর্ড করে দুর্দান্ত জয়ে বাংলাদেশ হায়দরাবাদে মেসির জন্য বিশেষ আলাদা মুহূর্ত রূপসা অধ্যক্ষ খান আলমগীর কবির স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত মেসিকে ভারতে আনার প্রহসন: শতদ্রু দত্ত ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে
বাজার অস্থির, পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিচ্ছে সরকার

বাজার অস্থির, পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিচ্ছে সরকার

বাজারের অস্থির অবস্থা ও পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতেই সরকার রোববার থেকে সীমিত আকারে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিচ্ছে। প্রতিদিন ৫০টি করে ইপির (আমদানি অনুমতি) প্রদান করা হবে, যার প্রতিটি আইপিতে সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে। এই সিদ্ধান্তের বিষয়টি কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোহাম্মদ জাকির হোসেনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ১ অগাস্ট থেকে যারা আমদানি অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন, তারা কেবল পুনরায় আবেদন করতে পারবেন। একজন আমদানিকারক একবারের জন্যই আবেদনের সুযোগ পাবেন। এটি যতক্ষণ না পুনরাদেশ দেওয়া হবে, ততক্ষণ এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।

গত মাসের শুরুতে হঠাৎ করে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। কয়েক দিনের ব্যবধানে এর দাম ৪০ টাকার মতো বাড়ে এবং প্রতি কেজিতে দাম ওঠে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। এক পর্যায়ে সরকার আমদানির অনুমতি দিলে দাম কিছুটা কমে যায়। ধীরে ধীরে দাম ১০৫ থেকে ১১0 টাকায় আর ফিরে আসে।

সম্প্রতি সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পেঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুত আছে এবং নতুন পেঁয়াজ শিগগিরই বাজারে আসবে। ফলে কৃষকের স্বার্থ রক্ষা করতে আমদানির অনুমতি দেওয়া হয় না। তবে এই সিদ্ধান্তের সুযোগ নিয়ে মজুতদার ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে, যার কারণে এখনো বাজারে দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত বুধবার রাজধানীর খুচরা বাজারে কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম ১১৫ থেকে ১২০ টাকা ছাড়িয়ে যায়, যা এক সপ্তাহের মধ্যে ১০ টাকা বেশি।

অন্যদিকে, টিসিবির হিসাব অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় এখনও পেঁয়াজের দর প্রায় ১০ শতাংশ কম। বাজারে নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ না এলেও পাতায়যুক্ত পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে, যার কেজি দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা।

পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানির অনুমতি না দেওয়ার খবর পেয়ে দর বাড়ছে। মজুতদার ও কৃষক পর্যায়ে দাম বেড়ে যাওয়ায় পাইকারি ও খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।

এর আগে, ৯ নভেম্বর বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের বক্তব্যে জানানো হয়েছিল, চার-পাঁচ দিনের মধ্যে যদি পেঁয়াজের দাম ওভার করে না, তবে আমদানি অনুমোদন দেওয়া হবে। তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা বাজারের ওপর চোখ রাখছি। দেশের মজুত যথেষ্ট। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসবে। তবে যদি এই সময়ের মধ্যে দাম কমে না, তাহলে আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘বর্তমানে সরকারের কাছে ২৮০০টির বেশি পেঁয়াজ আমদানির আবেদন রয়েছে। যার দশ শতাংশ অনুমোদন হলে দেশে পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে। তবে এই সময়ের মধ্যে দাম কমে গেলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, সেই জন্য সরকার এই বিষয় মনিটর করছে।’

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Shipon tech bd