সর্বশেষঃ
সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন নির্বাচকালীন সরকার বিষয়ক সমাধানে আপিল বিভাগের জোর দাবি তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি ২১ অক্টোবর পৃথক তিন হত্যা মামলায় আনিসুল-সালমানসহ ৬ জন গ্রেপ্তার নির্বাচনের রোডম্যাপ কবে প্রকাশ করবে ইসি জানালো চলতি বছরেই ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের হার গত বছরের সমান বা বেশি স্টেডিয়ামের অবস্থা দেখে চোখের জল ঝরল বিসিবি সভাপতি বাংলাদেশকে ৩ গোলে হারালো নেপাল নতুন আইনে ফেঁসে গেল ড্রিম ১১, স্পন্সর হারালো বিসিসিআই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শহিদ মীর মুগ্ধ আন্তঃবিভাগীয় ফুটবল প্রতিযোগিতায় বাংলার পুনরায় চ্যাম্পিয়নত্ব ফিফা জানালো, ২০২৯ সালে অনুষ্ঠিত হবে ক্লাব বিশ্বকাপ
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি ২১ অক্টোবর

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি ২১ অক্টোবর

আদালত আজ ঘোষণা করেছে যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের ওপর শুনানি ২১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের বেঞ্চ আজ বুধবার (২৭ আগস্ট) এই সিদ্ধান্ত নেন। শুনানির শুরুতে বিচারপতি শিশির মনির অভিযোগ করেন, যেসব বিচারপতি এই রায় দিয়েছিলেন তারা পরবর্তীতে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন, যা নিশ্চিত করেছে রিভিউতে নতুন করে আলোচনা হওয়া দরকার।

আদালত সুস্পষ্ট করে জানিয়েছেন, আপিল বিভাগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে গভীরভাবে ভাবছে এবং এমন একটি কার্যকর সমাধানে পৌঁছাতে চায়, যাতে ভবিষ্যতেও নির্বাচনপ্রক্রিয়া বারবার বিঘ্নিত না হয়।

বিচারপতি শিশির মনির মো mouths গোপন করেন যে, ২০১১ সালে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে আপিল বিভাগের সাত সদস্যের বেঞ্চ এই ব্যবস্থা মান্যতা দিয়েছিল। ওই সময় এই সংশোধনী সংবিধানসম্মত বলে রায় দেয়ার মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নির্বাচন ব্যবস্থাকে বাতিল করা হয়। ২০০৪ সালে এই সংশোধনীকে বৈধ ঘোষণা করেছিল হাইকোর্ট, কিন্তু পরে ২০১১ সালে আপিল বিভাগ এই ব্যবস্থা বাতিলের আদেশ দেয়।

অতীতে, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও নাগরিক সংগঠন এই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেছিল। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার—all এই রায় আবার দেখার জন্য অনুরোধ করেছিলেন।

উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত হয়, যা ২০০৪ সালে হাইকোর্ট বৈধ হিসেবে ঘোষণা করে। এরপর ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে শেষ জাতীয় নির্বাচন হয়, যেখানে আওয়ামী লীগ বেশি আসনে জয়লাভ করে। তবে, ২০১১ সালে আপিল বিভাগ এই ব্যবস্থা বাতিল করে দেয়, যা এখনও দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Shipon tech bd