ক্রিকেটে সাধারণত নিজেদের নির্দিষ্ট পোশাকের বাইরে বিশেষ জার্সি পরার ঘটনা নতুন কিছু নয়। বিশেষত স্তন ক্যান্সার সচেতনতা বাড়াতে বিশ্বের বিভিন্ন দলই এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে। দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দলগুলো ইতিমধ্যে এই পথ অনুসরণ করে আসছে। এবার পাকিস্তান ক্রিকেট দলেরও এই দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করে সামনে আসছে। তারা আগামীকাল ২৮ অক্টোবর রাওয়ালপิน্ডিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে গোলাপি জার্সি পরে মাঠে নামবেন। এই ম্যাচটি তাদের ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যেখানে পুরোদমে সিরিজ খেলছে দুই দল।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) জানিয়েছে, এই উদ্যোগটি ‘পিঙ্কটোবর’ প্রকল্পের অংশ, যার মাধ্যমে স্তন ক্যান্সার নিয়ে মানুষকে সচেতন করা ও এই রোগের প্রাদুর্ভাবের প্রভাব সম্পর্কে জানানো হয়। প্রতি বছরের অক্টোবর মাসটি স্তন ক্যান্সার সচেতনতার জন্য নির্দিষ্ট করা হয়, যেখানে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এই সিরিজের প্রথম ম্যাচে পিসিবির সব ক্রিকেটার, ম্যাচ অফিসিয়াল, সাপোর্ট স্টাফ ও ধারাভাষ্যকাররা গোলাপি ফিতা সংযুক্ত পোশাক পরবেন।
পিসিবির প্রধান নির্বাহী সুমাইর আহমেদ সৈয়দ বলেছেন, ‘ক্রিকেটের শক্তি ও মানুষের মধ্যে সংযোগের মাধ্যমে আমরা সমাজে সচেতনতা সৃষ্টি করতে চাই। পিংক রিবন ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ ও সনাক্তকরণের গুরুত্ব তুলে ধরতে চাই, যা অনেক জীবন বাঁচাতে পারে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘এই উদ্যোগ আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা ও প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। আমরা উভয় দল, ম্যাচ অফিসিয়াল ও ভক্তদের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞ, যাতে আমরা এই সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে পারি।’ এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে পাকিস্তান-আফ্রিকা ম্যাচের স্টাম্পও গোলাপি রঙে সাজানো হবে, এবং ডিজিটাল স্ক্রিনে ক্যাম্পেইনের বিষয়বস্তু দেখানো হবে। এই প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে গোলাপি জার্সি পরা বা স্তন ক্যান্সার নিয়ে সচেতনতার উদ্যোগ নিয়েছে পিসিবি। এর আগে পাকিস্তান সুপার লিগেও ‘পিঙ্ক ডে’ পালন করা হয়েছে।
তথ্য মতে, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া বহু আগে থেকেই স্তন ক্যান্সার সচেতনতার জন্য এই ধরনের উদ্যোগ পরিচালনা করে আসছে। ২০১৩ সালে প্রোটিয়া দল সীমিত ফরম্যাটে প্রতিযোগিতায় নিয়মিতভাবে গোলাপি জার্সি পরে মাঠে নামে, এবং আয়কৃত অর্থ স্তন ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যয় করা হয়। অস্ট্রেলিয়া বক্সিং ডেতে টেস্ট ম্যাচেও গোলাপি ক্যাপ পড়ে খেলার রীতি চালু রয়েছে, যা স্তন ক্যান্সার সচেতনতায় সহায়ক।
Leave a Reply