জাতীয় ক্রিকেট লিগের ২৭তম আসরে খুলনা বিভাগের স্পিনার আফিফ হোসেন ধ্রুবের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে বরিশাল বিভাগ কঠিন দুঃশ্চিন্তার মধ্যে পড়েছে। প্রথম ইনিংসে খুলনার ৩১৩ রানের জবাবে বরিশাল দল ১২৬ রানে অলআউট হওয়ায় ফলো-অনে পড়ে। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে তারা ১৮৭ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ১১৯ রান করেছে, ফলে তাদের পিছিয়ে রেখেছে ৬ উইকেট হাতে নিয়ে ৬৮ রানের ব্যবধানে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিস্থিতি যেখানে বরিশাল পরে কঠিন চ্যালেঞ্জে পড়েছে। খুলনা বিভাগের প্রথম দিন (শনিবার) শেষে তাদের স্কোর ছিল ৯ উইকেটে ৩১২ রান, যা শেষ করে ৩১৪ রান করা হয় বাকী এক উইকেটে। বরিশালের জন্য রুয়েল মিয়া ও মইন খান ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন। জবাবে আফিফের স্পিন ঘূর্ণিতে বরিশাল দল মাত্র ১২৫ রানে ৭ উইকেট হারায়, যেখানে তিনি ৩ উইকেট সংগ্রহ করেন। তবে আফিফ একের বেশি উইকেট নিতে থেমে থাকেননি। ৪২তম ওভারের প্রথম তিন বলে তিনি তিন ব্যাটসম্যানকে এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে ফেলেন—শামসুল ইসলাম অনিক, ইয়াসিন আরাফাত মিশু ও রুয়েল মিয়া। এর ফলে তিনি পূর্ণ করেন হ্যাটট্রিক। আফিফ ১০.৫ ওভারে বল করে ৩১ রানে ৬ উইকেট নেন, যা তার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অন্যতম সেরা বোলিং পারফরম্যান্স। এর আগে ২০১৮ সালে রাজশাহীর বিপক্ষে খেলিয়ায় তিনি ৬৭ রানে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন। ফলো-অনের কারণে বরিশাল দ্বিতীয় ইনিংসে সুবিধা করতে পারেনি, তারা ১১৯ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায়। ইফতেখার হোসেন ৪০ ও ফজলে মাহমুদ ৩২ রানে আউট হন। শামসুর রহমান ২৪ এবং তাসামুল হক অপরাজিত আছেন ৩ রানে। নাহিদুল ইসলাম দুটি উইকেট শিকার করেন। অন্যদিকে, রংপুর বিভাগ এগিয়ে রয়েছে নাইমের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে। তিনি ডাবল সেঞ্চুরি তুলে দলকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। প্রথম ইনিংসে ঢাকার ২২১ রানের জবাবে রংপুরের প্রথম দিন শেষে তারা ৬৫ রানে ২ উইকেটের জয় নিয়ে ব্যাট করছে। দ্বিতীয় দিন নাইমের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে রংপুর লিড পেয়েছে। তিনি ১১১ রান অপরাজিত থাকেন, যেখানে তার ইনিংসে ছিল ১৬টি চার। ২২১ বলের এই ইনিংসের সময় তিনি এক জুটি গড়ে ৮৮ রান তানভীর হায়দারের সাথে। দলের জন্য দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন তানভীর, এছাড়া অধিনায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন ৩৭, আবু হাসিম ২৮ এবং আলাউদ্দিন বাবু ২১ রান করেন। রংপুরের রিপন মন্ডল ৫৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। সালাউদ্দিন শাকিল ও তাইবুর রহমান দুটি করে উইকেট নেন। অন্যদিকে, চট্টগ্রাম বিভাগের ক্রিকেটাররা রাজশাহী দলের বিপক্ষে দারুণ সময় কাটাচ্ছেন। বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদ ৬ উইকেট দিয়ে দলকে বড় লিড এনে দিয়েছেন, আর মাহমুদুল হাসান জয় সেঞ্চুরির পর ফিফটি করেছেন। আর রাজশাহীর জন্য রোববারের মূল আবহ ছিল ২ উইকেটে ১ রানের সূচনা। মুরাদের স্পিনে ৫৪.৪ ওভারে দলটি প্রথম ইনিংসে ১৯৬ রানে গুটিয়ে যায়। আবার, আফিফ হোসেনের হ্যাটট্রিকসহ ৬ উইকেটের পারফরম্যান্সে তিনি দিনের সেরা খেলোয়াড়ে পরিণত হন।
Leave a Reply