সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্তের জন্য আরও ছয় মাস সময় অনুমোদন দিয়েছে হাইকোর্ট। তবে এই সময়ের ভিত্তিতে আদালত উল্লেখ করেছে, এটি শেষবারের মতো সময় বাড়ানো, যাতে তদন্তের কাজ দ্রুত এবং কার্যকরভাবে সম্পন্ন হয়।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) এই আদেশ দেওয়া হয়, যখন রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন অনুযায়ী উচ্চ আদালত এটা গ্রহণ করেন। বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ার আয়োজিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই সিদ্ধান্ত নেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রপক্ষের পক্ষ থেকে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ, সাথে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুশফিকুর রহিম। অন্যদিকে, রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ ও শিশির মনির।
এর আগে, ২৩ অক্টোবর হাইকোর্টের নির্দেশে এই হত্যা মামলার তদন্তের জন্য পিবিআই প্রধানের নেতৃত্বে চার সদস্যের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। এই টাস্কফোর্সে বিভিন্ন সংস্থার অভিজ্ঞ কর্মী বা বিশেষজ্ঞরা ছিলেন। এই টাস্কফোর্সের জন্য হাইকোর্ট আগে ২২ এপ্রিল ছয় মাসের সময় নির্ধারণ করে দিয়েছিল।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হয়েছিলেন সাগর ও রুনি। তারা তখন বাসায় ছিল তাদের সাড়ে চার বছর বয়সী ছেলে মাহির সরোয়ার মেঘ। ঘটনার সময় ঘরে ছিলেন না, কারণ তারা কাজের জন্য বাসায় ছিল। সাগর মাছরাঙা টেলিভিশনের নিজস্ব প্রতিবেদক ও রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন।
ঘটনার পর রুনির ভাই নওশের আলম শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন: রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মাসুম মিন্টু, কামরুল ইসলাম (অরুন), আবু সাঈদ, নিরাপত্তারক্ষী পলাশ রুদ্র পাল ও এনায়েত আহমেদ, ও তানভীর রহমান খান। এর মধ্যে তানভীর ও পলাশ জামিনে রয়েছেন, বাকিরা কারাগারে আছেন।
এখন পর্যন্ত এই হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১২১ বার সময় পিছিয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের দিন নির্ধারিত হয়েছে আগামী ৩০ নভেম্বর।
Leave a Reply