পার্বত্য শান্তি চুক্তির অনুষ্ঠানে আসা-না আসা নিয়ে আঞ্চলিক দুটি গ্রুপের মাঝে দফায় দফায় বন্দুক যুদ্ধে আবারও অস্থির হয়ে উঠেছে রাঙ্গামাটির সাজেক। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দফায় দফায় বন্দুকযুদ্ধে সাজেকে আটকা পড়েছেন পাঁচ শতাধিক পর্যটকরা।
এদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) একদিনের জন্য সাজেক ভ্রমণে নিরুসাহিত করেছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জোবায়দা আক্তার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে গত কয়েকদিন ধরে সাজেক ও মাচালং এলাকায় সন্তু লারমা জেএসএস ও প্রসীত গ্রুপ ইপিডিএফ দুই অঞ্চলিক দল দফায় দফায় গোলাগুলির ঘটনার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
সাজেকে আটকা পড়া পরিবহন চালকরা বলেন, সকালে খাগড়াছড়ি থেকে ২৭টি গাড়ি ৪ শতাধিক নিয়ে পর্যটক সাজেকে গিয়েছে। দুই আঞ্চলিক দলের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে গোলাগুলি বেড়ে যাওয়ায় পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে কোনো পর্যটকবাহী গাড়ি সাজেক থেকে খাগড়াছড়ি আসেনি।
সাজেক রিসোর্ট মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিজয় ত্রিপুরা জানান, সাজেক ও মাচালং সড়কের ৭নং ওয়ার্ডের শীপপাড়া নামক এলাকায় এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। ওই এলাকা পর্যটনকেন্দ্র থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে। গোলাগুলির কারণে কোনো গাড়ি সাজেক ছেড়ে যায়নি। রাতে প্রায় ৫ শতাধিক পর্যটক সাজেকে অবস্থান করেছেন।
রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানান, গোলাগুলির ঘটনায় পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বুধবার একদিন সাজেকে পর্যটক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা করা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরে এই ব্যাপারে পুণরায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যারা আছেন তাদের পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিরাপদে আজ ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
Leave a Reply