পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সঠিক পদক্ষেপ নয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
সোমবার দুপুরে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে যোগ দিয়ে মমতা বাংলাদেশে শান্তিসেনা পাঠানোর জন্য ভারত সরকারকে জাতিসংঘের সঙ্গে কথা বলার আর্জি জানান। সোমবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অবস্থান নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফ করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
এসময় তৌহিদ হোসেন আরও বলেন, উনি এই বক্তব্য কেন দিলেন এটা আমি বুঝতে পারছি না। রাজনীতিবিদরা তো সবসময় রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বক্তব্য দিয়ে থাকেন। আমি মনে করি, এটা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির জন্য সহায়ক হবে না। এটা অবশ্য আমার মত। সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মান, জাপান, চীন, কানাডা, সৌদি আরব, ইরান, সিঙ্গাপুর পাকিস্তানসহ একাধিক রাষ্ট্রের প্রতিনিধি। সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশে কর্মরত আন্তর্জাতিক সংস্থা ও জাতিসংঘের প্রতিনিধিও।
এসময় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশি হিন্দুদের সম্পর্কে একটি ভুল ধারণা তৈরি করেছে ভারতীয় গণমাধ্যমের একাংশ। সেটি কূটনীতিকদের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশের সংখ্যালঘু পরিস্থিতি নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানত ভারতীয় মিডিয়ায় অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এর বাইরেও অনেক মিডিয়া ভারতীয় মিডিয়াকে উপজীব্য করে অপতথ্য ছড়াচ্ছে। তবে আমরা বলতে চাই, সব সরকারের আমলেই বছরে দুই-একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে। সরকারের কাজ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা। আমরা সেটি করেছি। এরপরও দেশ ও দেশের বাইরে এ নিয়ে মিথ্যা তথ্য ও বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।
সরকারের অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা বার্তা দিতে চাই, বর্তমান সরকার সাম্প্রদায়িক কোনো অপতৎপরতা বরদাশত করবে না। আমরা হিন্দু-মুসলিম কোনো ভেদ করতে চাই না। কোনো বিশৃঙ্খলা দেখা গেলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।
Leave a Reply