বাংলাদেশে নারী জাগরণের অন্যতম প্রবক্তা বেগম রোকেয়া। দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের স্বীকৃতি ও অবদানের জন্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতি বছর বেগম রোকেয়া পদক প্রদান করে থাকে। এবার এই prestigious পদকের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন ড. রুভানা রাকিব, শ্রম অধিকার আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী কল্পনা আক্তার, মানবাধিকার ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য ড. নাবিলা ইদ্রিস এবং ক্রীড়ায় নারী জাগরণের অন্যতম কাণ্ডারি ঋতুপর্ণা চাকমা। তিনি বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত নারী ফুটবলার। তার জোড়া গোলের সুবাদে বাংলাদেশ শক্তিশালী মিয়ানমারকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের মূলপর্বে খেলার সুযোগ পেয়েছে। এছাড়া, গত বছর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নেপালকে হারিয়ে বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল চ্যাম্পিয়ন হয়, যেখানে ঋতুপর্ণার অবদান বড়। সমাজের নানা প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে এখন তিনি ক্রীড়াঙ্গনসহ পুরো দেশের জন্য অনুপ্রেরণার এক আইকনে পরিণত হয়েছেন। ৯ ডিসেম্বর বুধবার বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী। এই দিন সরকার রোকেয়া পদক প্রদান করে। অতীতে এই দিনে ক্রীড়াবিদদের পুরস্কৃত করা হয়নি, তবে গত বছর কিংবদন্তি দাবাড়ু রাণী হামিদ পুরস্কৃত হন। এবার আবারও ক্রীড়াঙ্গনের একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র ঋতুপর্ণা চাকমা এই পদক পাচ্ছেন। অনুষ্ঠান শুরু হবে আগামীকাল এক বিশেষ অনুষ্ঠানে, যেখানে এই সুন্দর মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার হস্তান্তর করা হবে। এদিকে, দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক অভিনন্দনমূলকভাবে অর্জন করেছে বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল ২০২৫ সালে। নারী ফুটবলাররা এর আগে একুশে পদক পায়নি, বরং সাবেক খেলোয়াড় ও ধারাভাষ্যকার আব্দুল হামিদ সাংবাদিকতার জন্য এই পুরস্কার লাভ করেন। দলীয়ভাবে এই গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার প্রথমবারের মতো পেল নারী ফুটবল দল, যা দেশের ক্রীড়াঙ্গনে এক নতুন ইতিহাস রচনা করল।
Leave a Reply