বাগেরহাটের সংসদীয় চারটি আসনকে তিনটিতে কমানোর গেজেট বাতিল করে হাইকোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ সোমবার (১০ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এ গুরুত্বপূর্ণ আদেশ দিয়েছেন। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাগেরহাটের চারটি আসন পুনর্বহাল হয়েছে এবং নির্বাচন কমিশনের গেজেটের বৈধতা স্বীকৃতি পেয়েছে।
গত ১০ নভেম্বর হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল যে, বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন ফের বিভক্ত করে চারটির পরিবর্তে তিনটি আসন করা হবে। আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, ওই আসনগুলোর গেজেট ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশ করতে হবে। এরপর নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করে। আপিল শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান। অপরদিকে, গাজীপুর-৬ আসনের প্রার্থীদের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট বদরুদ্দোজা বাদল, মোস্তাফিজুর রহমান খান এবং বেলায়েত হোসেন। বাগেরহাটের রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন।
প্রসঙ্গত, বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন ছিল, যথাক্রমে: বাগেরহাট-১ (চিতলমারী, মোল্লাহাট ও ফকিরহাট উপজেলা), বাগেরহাট-২ (বাগেরহাট সদর, কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল, মোংলা) এবং বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা)। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে, ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন এই আসন পুনর্বণ্টনের জন্য চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে, যার মধ্যে বাগেরহাট-৪টি আসন কেটে গাজীপুর-৬ আসন করে দেওয়া হয়।
এই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে বিভিন্ন সংগঠন ও প্রার্থীরা হাইকোর্টে রিট দাখিল করেন, যার মধ্যে উল্লেখ্য বাগেরহাট প্রেসক্লাব, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, আইনজীবী সমিতি, সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশন, ট্রাক-ট্যাংকলরি মালিক সমিতি ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের মনোনয়নপ্রত্যাশী মো. শেখ মাসুদ রানা।
হাইকোর্টের শুনানি ও রুলের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্তের চূড়ান্ত রায় দেওয়া হয়। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন ও মনোনয়নপ্রার্থীরা আপিল বিভাগে সাহসিক আবেদন করে। এই পুনর্ব্যবহার ও রায়ে বাগেরহাটের সংসদীয় সুবিধা জোরদার হয়েছে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া আইনের স্বচ্ছতা ফিরেছে।
Leave a Reply