বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার চৌদ্দহাজারী গ্রামে আদালতের নির্দেশে দীর্ঘ ২২ বছর ধরে চলমান আইনি লড়াই শেষে জমি উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় স্থানীয় এক আত্মীয়ের বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী জমির মালিক মোঃ আশরাব আলী মীর (৬৭) এই ঘটনার বিস্তারিত বিবৃত করেন।
আশরাব আলী মীর বলেন, ২০০০ সালের ১১ জুন তিনি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ১৩06 নং দলিলে ২৪০০ বর্গফুট জমি ক্রয় করেন। এরপর কয়েক বছর শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করলেও কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির নেতৃত্বে তাদের দখলদাররা জোরপূর্বক তার জমি ও অবকাঠামো দখল করে নেয়। ২০০৩ সালে তিনি আদালতে মামলার মাধ্যমে এই দখল মুক্ত করার জন্য মামলা করেন। আদালত তার পক্ষে রায় দেন ও ২০০৮ সালে আপিল না মঞ্জুর হয়। ২০০৯ সালে তিনি আরও একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে তিনি ফের জয়ী হন। এরপর বিভিন্ন আদালত থেকে ডিগ্রি ও অন্যান্য সিদ্ধান্তে জমির মালিকানা হেফাজত হয়।
সব কিছু শেষে, ২০২৫ সালের ৩০ নভেম্বর আদালতের নির্দেশে ঢোল পিটিয়ে, লাল কাপড় টানিয়ে ইউএনও, ওসি ও বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ওই জমি ও ভবনের সমস্ত তালায় সিলমোহর দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরই প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এই নির্দেশ অমান্য করে ঘরগুলো আবার দখল করে নেয়। ভয়ে আশরাব আলী তার পরিবারসহ পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এবং জীবন নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের সাহায্য কামনা করছেন। তিনি জানান, প্রভাবশালী ব্যক্তিরা যে আদালতের আদেশ অমান্য করে অবৈধ দখলদারিত্ব চালাচ্ছে, তাদের বিচার হোক।
প্রভাবশালী মোঃ বাদশা আলমের বক্তব্য, তিনি ২০০২ সাল থেকে ওই জমিতে বসবাস করছেন এবং কাউকে তার ঘরে তালা মারেনি বলেও দাবি করেন।
আদালতের আইনজীবি গোলাম মর্তুজা মোহাম্মদ সোহেল বলেন, ৩০ নভেম্বর আদালতের নির্দেশে আশরাব আলী মীরের জন্য তালা ও চাবি প্রদান করা হয়েছিল। তিনি শোনাQuality, প্রভাবশালীরা ওই নির্দেশ অমান্য করে ফের দখল নিয়েছে বলে জানা যায়।
অবশেষে চিতলমারী থানার ওসি রোকেয়া খানম বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে আমরা সেখানে পুলিশের ফোর্স পাঠিয়েছিলাম। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি, অভিযোগ এলে প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Leave a Reply