বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, এক দলে চাঁদাবাজি থেকে সরে গেলেও অন্য একটি দল সেখানে দখল করে নিচ্ছে। এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তির জন্য সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে, দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত করার লক্ষ্যে বিডিএ (বাংলাদেশ ডেভেলপার অ্যাসোসিয়েশন) এবং ইউএনডিপির (জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি) যৌথ আয়োজিত এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
গভর্নর ড. আহসান আরও বলেন, খেলাপি ঋণ আদায়ে অর্থ ঋণ আইনের পরিবর্তনের প্রস্তাব এসেছে। তিনি জানায়, ব্যাংক খাতের সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য সরকার প্রয়োজনীয় অর্থের পরিমাণ ৭০ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করেছে। এ অর্থের মাধ্যমে ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের মার্চের মধ্যে খেলাপি ঋণের হার ৩০ শতাংশের নিচে নামানোর লক্ষ্য রয়েছে। তিনি দৃঢ়ভাবে উল্লেখ করেন, আন্তর্জাতিক ঋণ সংস্থার (আইএমএফ) পরিবর্তে বাংলাদেশের নিজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী রিজার্ভ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডিসেম্বরের শেষে মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশের নিচে নামবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেন।
গভর্নর বলেন, প্রতিষ্ঠানের মূল্য অনেকের জন্য দেশese-এ বড় সম্পদ। কোনও ব্যক্তিগত স্বার্থে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা যায় না কারণ এগুলো দেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্ব রাখে ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে। তবে, আইনি نوعে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ব্যক্তির বিরুদ্ধে, আর আইনের প্রয়োগে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না—এটা আমাদের মূল নীতি।
ঋण আদায় করার জন্য প্রস্তাবিত অর্থ ঋণ আইনের মাধ্যমে ৭০ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে, যার মধ্যে ৩৫ হাজার কোটি টাকা অর্থবছরের বাজেট থেকে নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, দেশের ব্যাংক খাতের মধ্যে নানা ক্ষুদ্র ও লিলিপুট ব্যাংক থাকলেও আন্তর্জাতিক মানের কোনও ব্যাংক নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। তবে, বিশেষ প্রচেষ্টায় আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংক আন্তর্জাতিক মানের ব্যাংকে পরিণত হতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তবে, এ লক্ষ্য পূরণের জন্য আরও কমপক্ষে ২০ বছর সময় লাগবে বলেও মনে করেন তিনি।
Leave a Reply