মধ্যরাতে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এক শক্তিশালী ভূমিকম্প কক্সবাজার জেলার টেকনাফ শহরসহ আশেপাশের এলাকাগুলোকে কেঁপে উঠে। বুধবার রাত ৩টা ২৯ মিনিটি দিকে এই ভূমিকম্প ঘটে, যখন এর উৎপত্তি ছিল টেকনাফ থেকে প্রায় ১১৮ কিলোমিটার দূরে। বৈজ্ঞানিক ওয়েবসাইট ভলকানো ডিসকভারি জানিয়েছে, এই কম্পনের কারণে টেকনাফে খুব অল্প ঝাঁকুনি অনুভূত হয়, ফলে বেশিরভাগ মানুষই তা হালকা মনে করেছেন। তবে, ইএমএসসি জানিয়েছে যে, এই ভূমিকম্প মাটির ১০ কিলোমিটার গভীরে সংঘটিত হয়েছিল, যা এর শক্তি বোঝাতে সহায়ক। অবশ্য ভলকানো ডিসকভারি এই ভূমিকম্পের উৎপত্তির গভীরতা সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য দিতে পারেনি। এদিকে, গত শুক্রবার রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় ৫.৭ মাত্রার প্রবল ভূমিকম্প আঘাত হানে যা গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র বলে বিবেচিত। এই কম্পনের ফলে অনেক মানুষ আতঙ্কে ঘর থেকে রাস্তায় নামেন এবং বহু বিস্ময়কর দৃশ্য দেখা যায়—সহকর্ম, বাসাবাড়ি, অফিস ও বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলোতে ভয়াবহ বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে এই কম্পন অনুভূত হওয়ার পরে শতাধিক মানুষ আহত হন এবং কমপক্ষে ১০ জন ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। ভূকম্পনের ধাক্কার কারণে বেশ কয়েকজন আহত হন। বিশেষ করে নরসিংদীতে এই ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয় বলে জানা গেছে, যা দেশজুড়ে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি করে। এবারে এই ভূমিকম্পের ফলে বহু মানুষ আতঙ্কে ঘর ছাড়তে বাধ্য হন এবং জনগণ দ্রুত নিরাপদ স্থানে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন।
Leave a Reply