জাতীয় খেলা কাবাডি। বাংলাদেশ এবার আয়োজন করছে নারী কাবাডি বিশ্বকাপ। এই আসরটি হবে আগামী সোমবার মিরপুরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে, যা বাংলাদেশের কাবাডি ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। আজ শনিবার এক আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন তাদের দল ও প্রস্তুতি সব কিছু ঘোষণা করে।
দলের ঘোষণা সময় অধিনায়ক, কোচ কেউ উপস্থিত ছিলেন না, ফলে মিডিয়া সরাসরি তাদের প্রস্তুতি ও লক্ষ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেনি। তবে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এসএম নেওয়াজ সোহাগ জানান, ‘কাবাডি দলের জন্য খেলোয়াড়রা বিকেএসপিতে অনুশীলন করছে, এজন্য কেউ সরাসরি উপস্থিত থাকতে পারেনি।’
নির্মীত আয়োজনের অংশ হিসেবে আগামীকাল রবিবার টুর্নামেন্টের ট্রফি উন্মোচন হবে। এই উৎসবমুখর অনুষ্ঠানটি বেশ ভিন্ন বা দারুণ আড়ম্বরপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক। তিনি বললেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতিতে যমুনা নদীর পাড়ে বিকেলে ১১ দলের অধিনায়করা উপস্থিত থেকে ট্রফি উন্মোচন করবেন। এটি বাংলাদেশের প্রথম নারী কাবাডি বিশ্বকাপ, যা স্মরণীয় ও ঐতিহাসিক করে রাখতে আমরা এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’
অ্যাকর্ষণীয় বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল আর্জেন্টিনার দর্শকদের আগমনের প্রত্যাশা, যা করোনা পরিস্থিতির কারণে বাস্তবে ঘটতে পারেনি। প্রকৃতপক্ষে, আয়োজকরা জানিয়েছে, ১৪ দেশের অংশগ্রহণের কথা ছিল, তবে তার মধ্যে জাপান, কোরিয়া, নেদারল্যান্ডস ও আর্জেন্টিনা আর আসছে না। পরিবর্তে, স্ট্যান্ডবাই হিসেবে পাকিস্তান ও পোল্যান্ড থাকবে; পাকিস্তান আসবে না, তবে পোল্যান্ড টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করবে। বাংলাদেশ সব ধরনের সুবিধা প্রদান করবে, যাতে অংশগ্রহণকারীরা স্বাচ্ছন্দ্যে আসতে পারেন।
বাংলাদেশ দীর্ঘ বছর ধরে আন্তর্জাতিক কাবাডি প্রতিযোগিতা আয়োজন করে আসছে এবং এই খেলায় বেশ সাফল্য অর্জন করেছে। এর পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কিছু সমালোচনা রয়েছে, বিশেষ করে আম্পায়ারিং নিয়ে। সাধারণ সম্পাদক জানান, ‘আমাদের দলের ১২ জন আন্তর্জাতিক আম্পায়ারসহ কিছু দেশি আম্পায়ার থাকবেন, ভারতের আম্পায়ারিং মানের অনুকূল থাকছে।’
বাংলাদেশের কাবাডির বিশ্ব র্যাংকিং এখন পাঁচে, এবং সেমিফাইনালে উঠলেই ব্রোঞ্জ পদক পাওয়া যায়। তাই, এবার বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পদকের জন্য প্রত্যাশা অনেক উচ্চ। সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আগামীকাল গ্রুপিং অনুষ্ঠানে আমাদের প্রস্তুতি ভালো। আমি মনে করি, ইরানে এশিয়ান নারী কাবাডিতে অর্জিত পদক আমাদের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়েছে। বিশ্বকাপে আমাদের প্রতিযোগিতা সফল হবে বলে আশাবাদী।’
তাই এই গুরুত্বপূর্ণ আসরে বাংলাদেশের দল হলো: শ্রাবণী মল্লিক, বৃষ্টি বিশ্বাস, রুপালী আক্তার, স্মৃতি আক্তার, রেখা আক্তারী, মেবি চাকমা, রুপালী আক্তার (জুনিয়র), আঞ্জুয়ারা রাত্রি, সুচরিতা চাকমা, খাদিজা খাতুন, লোবা আক্তার, ইয়াসমিন খানম, ইসরাত জাহান ও তাহরিম।
দলের কোচ হিসেবে থাকছেন শাহনাজ পারভীন মালেকা ও আরদুজ্জামান। এই দল ও কোচিং স্টাফের উদ্দেশ্য হলো, এই আন্তর্জাতিক আসরে বাংলাদেশের কাবাডি দলের পারফরম্যান্স উচ্চ মানের, এবং তারা পদকের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছে।
Leave a Reply