বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মহাসচিব মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, দিল্লির ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আগামী ১৩ জানুয়ারি লকডাউনের নামে আওয়ামী লীগ নতুন ধরনের নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা করছে। আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে পাচঁ দফা দাবিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।
গোলাম পরওয়ার বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরে পল্টন মোড়ে একটি বৃহৎ ও ঐতিহাসিক মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে, যা ভবিষ্যতের রাজনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ milestones হিসেবে বিবেচিত হবে। তিনি আরো বলেন, একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বাধীন নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আজ বাংলাদেশের মানুষ অপেক্ষা করছে। সরকার গঠনের জন্য সাধারণ ঐক্য ও সংবিধান সংশোধনের জন্য বেশ কিছু সংস্কার হয়েছে, যার মধ্যে ৪৮টি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন রয়েছে। তবে ডিসেম্বরের নির্বাচন ঘোষণা করার পর থেকে বিভিন্ন মহল ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
জামায়াতের এই নেতা সরকারের প্রতি আবেদন করে বলেন, যারা দাবি করছে, একদিনের গণভোটের মাধ্যমে নির্বাচন হবে, তাদের এই বিষয়ে পুনরায় ভাবতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, জুলাইয়ে যে সংবিধানে সংস্কার হয়েছে, এর মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে দলের প্রধান ও সরকারের প্রধান পৃথক হওয়া, সাংবিধানিক পদে নিয়োগের স্বাধীনতা, পার্লামেন্টের কাঠামো পরিবর্তনসহ নানা সংস্কার রয়েছে। যদি এই পরিবর্তনগুলো সংবিধানসম্মতভাবে না হয়, তাহলে কিসের ভিত্তিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে?
তিনি আরও বলেন, অনেক সংবিধান বিশ্লেষক মনে করেন, হাইকোর্টের আর্টিকেল ১০৬-এর আওতায় সরকারের বৈধতা প্রমাণের জন্য গণভোট অপরিহার্য। কারণ, এই আইনের ভিত্তি শক্তিশালী না হলে, নির্বাচন ও সংস্কারগুলি বৈধতা পাবে না।
মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের প্রসঙ্গে গোলাম পরওয়ার বলেন, আমরা পাঁচ দফা দাবি করেছিলাম মানবতাবিরোধী অপরাধীদের শাস্তির, তার জন্য আমরা ধন্যবাদ জানাই। ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে চলেছে। নভেম্বরে কিছু অপরাধীর রায় আসার আশঙ্কা থাকলেও, ফ্যাসিস্টরা বাংলাদেশজুড়ে ককটেল ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগসহ নাশকতার ষড়যন্ত্র করছে।
সরকারী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তিনি বলেন, ঢাকার বিভিন্ন হোটেলে সন্ত্রাসীরা অবস্থান করছে, দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করুন এবং জুলাইয়ের সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করুন। প্রধানমন্ত্রী ও সরকার এই কাজে জনগণের সহযোগিতা নিতে প্রস্তুত।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মো. রেজাউল করিম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
Leave a Reply