সর্বশেষঃ
সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন সত্যি কি তাহসান খান রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন? প্রখ্যাত নিউজিল্যান্ডি নির্মাতা লি তামাহোরি আর নেই ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর গুঞ্জনে স্ত্রী বললেন, যা ঘটছে তা ক্ষমার অযোগ্য নিজ বাড়িতে অজ্ঞান হয়ে হাসপাতালে ভর্তি অভিনেতা গোবিন্দ পলক মুচ্ছল গিনেস বুকের নাম অন্তর্ভুক্ত, ৩,৮০০ শিশুর হার্ট সার্জারির খরচ বহন করে অভিমান ভেঙে টেস্ট নেতৃত্বে ফিরলেন শান্ত বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের টিকিট মাত্র ছয় মিনিটে শেষ নেতিবাচক ফুটবল মন্তব্যে বিসিবি-বাফুফের ঝঞ্ঝা শেষ বিকেলে স্পিনারদের দাপটে স্বস্তি ফিরল টাইগার শিবিরে মাহেদির ব্যাটিং জাদুতে খুলনা চট্টগ্রামকে হারিয়ে শীর্ষে
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া কোনও নির্বাচন হবে না: জামায়াতের আমির

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া কোনও নির্বাচন হবে না: জামায়াতের আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ২০২৬ সালের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না যদি জুলাই সনদকে বৈধভাবে স্বীকৃতি দেওয়া না হয়। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে উল্লেখ করেন, আমাদের মূল দাবি হলো জুলাই সনদ ও বিপ্লবের স্বীকৃতি। প্রথমে এই সনদকে আইনি ভিত্তি প্রাপ্ত করতে হবে এবং এর ভিত্তিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। আইনি স্বীকৃতি ব্যতিরেকে কোন নির্বাচনই গ্রহণযোগ্য হবে না।

সমাবেশটি মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ২টায় রাজধানীর পল্টন মোড়ে আয়োজিত হয়, যেখানে আটটি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে। এই বছর, আন্দোলনকারীরা দাবি করেন যে, এপ্রিলের বিপ্লবের স্বীকৃতি ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন জরুরি। ডা. শফিকুর রহমান বলেন, গণভোটের মাধ্যমে জুলাইয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সবার সম্মতি জরুরি। যদি সবাই একমত হয়ে গণভোটের জন্য পরিষ্কার তারিখ দেওয়া হয়, তাহলে আইনি ভিত্তি স্থাপন হবে এবং এর ভিত্তিতে পরবর্তী নির্বাচন হবে সক্ষম ও বিশ্বাসযোগ্য। তিনি আরও বলেন, আমরা চাই ফেব্রুয়ারির আগে রমضانুল রহমানের আগে অর্থাৎ শীঘ্রই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। অন্যথায় অন্ধকারে চলে যাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রের জন্য আমাদের আশা এবং দাবি পরিষ্কার—জুলাই সনদ ও বিপ্লবের স্বীকৃতি ব্যতীত কোনো নির্বাচন হবে না। সেই সঙ্গে উপস্থিত নেতারা বলছেন, জনগণের ঐক্য ও দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে। ডা. শফিকুর রহমান সতর্ক করে বলেন, যারা এই আন্দোলনের সঙ্গে একমত নন অথবা দাবির প্রকৃত অর্থ বুঝতে পারছেন না, তাদের জন্য ভবিষ্যত ঝুঁকিপূর্ণ। তিনি বলেন, আমরা জনগণের মুক্তি চাই এবং তাদের স্বপ্নের আলো দেখে আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।

তিনি আরও বলেন, ভদ্রতার সঙ্গে কথা বলছি, কিন্তু আমাদের দাবিগুলো অক্ষুণ্ন থাকবেই। কারণ এগুলো জনগণেরই দাবি, কোনো দল বা ব্যক্তির নয়। এই দাবি যেমন বিপ্লবের জন্য, তেমনই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই। জনগণ এই চাপাবাজি, অন্যায় ও অসাংবিধানিক দাবি প্রত্যাখ্যান করছে।

আগামী দিনগুলোতে আরও কঠোর আন্দোলনের জন্য দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান এই নেতৃবৃন্দ। সামনের দিনগুলোতে কী পদক্ষেপ নেয়া হবে, তা শিগগিরই জানানো হবে।

এর আগে, মাওলানা মামুনুল হক বলেন, জুলাই সনদকে কেবল কাগজের সনদ বলেই না, বরং ভবিষ্যতের রূপরেখা হিসেবে দেখছেন। তিনি বলেন, এই সনদে দেশের মূল কাঠামো বদলের উদ্যোগ গৃহীত হবে, যাকে আইনি প্রতিষ্ঠা দিতে হবে। তিনি দাবি করেন, সময়ে সময়ে গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদের বৈধতা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যৎ নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য হয়। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, জুলাই বিপ্লবের শহীদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ সনদ গ্রহণ না করলে বাংলার মাটিতে অন্য কিছু হওয়া সম্ভব নয়।

জামায়াতে ইসলামীর মহাসচিব ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি অপরিহার্য। তিনি বলেন, এই মানদণ্ডে চললে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচনের সূচী ঘোষণা সম্ভব হবে। এটি দেশের শান্তি, স্থায়িত্ব ও সম্মান বৃদ্ধির জন্য আবশ্যক বলে তিনি উল্লেখ করেন। আর সেই সঙ্গে তিনি বলেন, এই বিশাল সমাবেশ বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন দিগন্তের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে এবং মুসলিম উম্মার ঐক্য ও দেশপ্রেমের প্রমাণ হিসেবে টিকে থাকবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Shipon tech bd