গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে গরু চুরির সময় গণপিটুনিতে এক চোরের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও সাতজন আহত হয়েছে। এই ঘটনা সোমবার ভোরে মুকসুদপুর উপজেলার পশারগাতী ইউনিয়নের হাজীবাগ গ্রামে ঘটে।
নিহত গরু চোরের নাম শামিম মিয়া (৪২), তিনি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ফুলারপাড়ার মুন্নু মিয়ার ছেলে। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে মুকসুদপুর উপজেলার ১০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন— বরিশাল জেলার সদর উপজেলার হাশেমের ছেলে লিটন (৩০), একই জেলার উজিরপুর থানার সকরাইল গ্রামের ইসমাইল হাওলাদারের ছেলে সুমন হাওলাদার (৩২), বগুড়া জেলার সদর উপজেলার মালগ্রামের বাদশা শেখের ছেলে ফারুক শেখ (৪৫), নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরী থানার পাথড়া গ্রামের বিনোদ সরকারের ছেলে বিপ্লব সরকার (৩২), কিশোরগঞ্জ জেলার নানদাইল থানার পূর্বধলা গ্রামের হোসেন মিয়ার ছেলে ফয়সাল মিয়া (৪৫), বোরর শ্যামগঞ্জের আব্দুল লতিফ সরদার (৩৫), এবং রসুলপুরের সোহাগ (৪১)।
মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল উল্লেখ করেন, মঙ্গলবার ভোরে লখাইড়চর গ্রামের মো. ঝিল্লু কাজীর বাড়ির গোয়ালখানা থেকে গরু চুরির জন্য ট্রাক নিয়ে আটজনের একটি চোরের দল চেষ্টা করছিল।
তখন তারা হাজীবাগ গ্রামে পৌঁছালে স্থানীয় জনগণ সন্দেহ করে গুলোর খোঁজ নিতে গিয়ে আটজন চোরকে আটক করেন। এরপর জনতা তাদের ধাওয়া দেয় এবং গণপিটুনিতে আহত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে রাখে। খবর পেয়ে মুকসুদপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শামিম মিয়াকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, গুরুতর আহত সাতজনকে পুলিশি পাহারায় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মৃতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলা নেয়া ও তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। এই ঘটনার ব্যাপারে মামলা করতে প্রস্তুতি চলছে।
Leave a Reply