বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের বর্তমান সংকটগুলো কেবল এক ধরনের নাটকের অংশ, যেখানে সাধারণ মানুষ আসলে এসবের অর্থ বোঝে না। তারা কেবল চায় ভোট দিতে, নিজেদের ভোটের মাধ্যমে পরিবর্তন আনার সুযোগ। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দৌলতপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জগন্নাথপুর ইউনিয়নের বাসিন্দাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বিএনপি হলো শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দল, এবং বেগম খালেদা জিয়ার দল। আমরা শুধু কথা বলছি না, কাজেও বিশ্বাস করি। মুনাফিকিরাই বিশ্বাস করে না।’’ তিনি উল্লেখ করেন, ‘১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা এদেশের কিছু মানুষ নিয়ে গণহত্যা চালিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল বিরোধী মতাবলম্বী মানুষ। আবার এইবার শেখ হাসিনা তার প্রশাসন দিয়ে এই দেশেই গণহত্যা চালিয়েছে। স্বজনদের দখলে থাকা ন্যায্য দাবির জন্য তাদের ওপর অত্যाचार চালানো হচ্ছে।’
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, ‘বর্তমান সরকার নির্বাচিত নয়, তাই তারা সাধারণ মানুষের কষ্ট বোঝে না। কৃষকরা তাদের ধানের ন্যায্য মূল্য পায় না, শাকসবজির দাম ফুরিয়ে যায়। হিমাগারে আলু পড়ে রয়েছে বিক্রির অপেক্ষায়। কৃষি জন্য প্রয়োজনীয় সারও কৃষকদের পাওয়া যাচ্ছে না। যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে, তবে এই সমস্ত সমস্যা সমাধান হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নারীদের জন্য ফ্যামিলি কার্ড চালু করা হবে, যার মাধ্যমে তারা ন্যায্যমূল্যে তেল, চাল, ডাল সহ অন্যান্য পরিত্যাজ্য পণ্যে পৌছে যাবে। কৃষকদের জন্যও আলাদা কৃষি কার্ড দেওয়া হবে, যার মাধ্যমে তারা তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবে।’
মির্জা ফখরুল দাবি করেন, ‘নির্বাচনের দিন গণভোটের ব্যবস্থা থাকতে হবে, কারণ বোঝা দরকার, কিসের জন্য কি দরকার। গণভোট-সনদ উপলব্ধি বোঝে সাধারণ মানুষ না, শুধুই শিক্ষিত মানুষ। আমরা সব সংস্কারে সম্মত, তবে এমন কিছু নয় যা সংসদে পাস হতে পারে।
তিনি শেষবারের মত বলেন, ‘দাঁড়িপাল্লা দিয়ে নির্বাচন করতে হবে। ধানের শীষ ও দাঁড়িপাল্লার মধ্যে আপনাদের বেছে নিতে হবে। এটি আমার শেষ নির্বাচন, তাই আপনাদের ধানের শীষের পক্ষেই ভোট দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। আমি চাই আমাদের এই যাত্রা সফল হোক।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেনের সভাপতিত্বে, জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সল আমিন, সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, পৌর বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরীফ, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিনসহ অন্য নেতাকর্মীরা।
Leave a Reply