আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের পাঠানো চিঠিতে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে গভীর চিন্তার কথা প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. תৌহিদ হোসেন। তিনি বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ বিষয়ে কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, জাতিসংঘে চিঠি দিয়ে কিছুই হবে না। বিএনপি বা ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ যারা এই চিঠি পাঠিয়েছে, তারা এই বিষয়টি নিয়ে ঢাকায় কোনো ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ করেনি।
এর আগে, বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নয়’ বলে উল্লেখ করে এর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন পেতে জাতিসংঘকে চিঠি দেয় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ। এই চিঠি শনিবার ঢাকায় জাতিসংঘ উন্নয়ন প্রকল্পের (ইউএনডিপি) প্রতিনিধির কাছে পাঠানো হয়, যার মাধ্যমে তারা এই আহ্বান জানায়। চিঠিটি পাঠিয়েছেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত আমরা জাতিসংঘ ও ইউএনডিপির সকল সহযোগিতা স্থগিত করছি। পাশাপাশি, সব রাজনৈতিক পক্ষের সঙ্গে সংলাপ ও সমঝোতা প্রসারে উৎসাহিত করছি। আমরা মনে করছি, এ ধরনের পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও আইনের শাসন বজায় রাখা খুবই জরুরি, যা মনে রাখতে হবে।’
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘বাংলাদেশে ইউএনডিপির নির্বাচনী কার্যক্রম, ব্যালট প্রজেক্ট এবং বিভিন্ন সহায়তার কার্যক্রম নিয়ে আমাদের গুরুতর উদ্বেগ রয়েছে। কারণ, এই নির্বাচন সমূহ অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নয় বলে মনে করছে সরকার। এর ফলে, আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘের মূলনীতি এবং অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মানদণ্ড রক্ষা করা কঠিন হবে, যা ইউএনডিপির ম্যান্ডেটেরও পরিপন্থী।’
সংক্ষেপে, এটি বোঝা যায় যে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ জাতিসংঘের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ও সহযোগিতা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাদের অভিযোগ মানছে না সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।
Leave a Reply