অভিজ্ঞতা এবং দৃঢ় মনোবলের মাধ্যমে ভারতীয় নারী ক্রিকেট দল তাদের প্রথমবারের মতো নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা জিতে ইতিহাস গড়ল। এর আগে ভারত দুবার ফাইনালে পৌঁছালেও শিরোপা এই প্রথম তাদের ঝুলিতে উঠল। এই গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চে ভারতের প্রতিপক্ষ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, যা ৫২ রানের ব্যবধানে হার মানল।
২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ফাইনালে হেরে যাওয়া হতাশা কাটিয়ে এবার ভারতের নারী ক্রিকেটাররা নিজেদের প্রমাণ করলেন দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দিয়ে। ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডের কাছে উড়ে যাওয়া স্বপ্নও শেষ হয়েছিল সেই সময়; কিন্তু এবার ভারতের নারী দল তাদের পরিশ্রম, ডেডিকেশন এবং দলের একতায় এক অনন্য শিরোপা জিততে সক্ষম হয়েছে।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে এবারই প্রথম ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াকে বাদ দিয়ে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হলো। সাধারণত এই দুই দেশই এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে অংশ নিতো, তবে এবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীরা থাকলেন বাইরে। ফলে নতুন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ঘোষণা হলো ভারতের নাম।
২ নভেম্বর, রোববার সকালে nariz ধনী ম্যাচটি মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে শুরু হয়। টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের শুরুটা ছিল অসাধারণ, স্মৃতি মান্ধানা ও শেফালি বর্মার উদ্বোধনী জুটিতে আসে ১০৪ রানের দুর্দান্ত শুরু। তারা দুইজনই ফিফটি করে দলের স্কোর বোর্ডে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। এই জুটির উপর ভিত্তি করে ভারত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ২৯৮ রান সংগ্রহ করে।
বিরুদ্ধ দলের জন্য এই রান মনে হতে পারে চ্যালেঞ্জিং, তবে দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার লরা ভলভার্ট ও তাজমিন ব্রিটস শুরুতেই বেশ ধীরগতিতে খেলতে থাকেন। তবুও তারা প্রথম উইকেটের জন্য ৫৭ বলে ৫১ রান যোগ করেন। এরপর ব্রিটস ২৩ রান করে রান আউটে পরিণত হন। পরবর্তী ব্যাটসম্যানরা যথেষ্ট সুবিধা করতে না পারায় দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং অচল হয়ে পড়ে। লরা ভলভার্ট একাই লড়ে যান এবং এক সময় তিনি সেঞ্চুরি করেন—তবে শেষ পর্যন্ত ৯৮ বলে ১০১ রান করে আউট হন।
বাকিদের ব্যর্থতার কারণে শেষ পর্যন্ত তাদের ইনিংস ৪৫ ওভারে ২৪৬ রানে গুটিয়ে যায়, ফলে ভারত তাদের প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা নিশ্চিত করে।
খেলার শুরুতেই বৃষ্টির কারণে ফাইনালের টস বিলম্ব হয় এবং ম্যাচও দেরিতে শুরু হয়। ভারতীয় দলের শুরুটা ছিল খুবই প্রাণবন্ত, ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা এবং শেফালি বর্মার ওপেনিং জুটিতে দ্রুত রান আসে। স্মৃতি ৩৫ বলে ৪৫ রান করেন, তার বিদায়ের পর জেমিমা রদ্রিগেজ মাঠে নামেন ও দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। সে সময়ে তিনি ৮৭ রান করেন। এর মধ্যেই দলের অন্যান্য ব্যাটসম্যানরা কিছু সুবিধা করতে পারেননি।
দলের স্কোর ২৯২ পর্যন্ত পৌঁছলেও, দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা তাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি। তাদের ইনিংস শেষ হয় ২৪৬ রানে, এক বিশাল ব্যবধানে হার স্বীকার করে।
অভিনন্দন জানানো হয়েছে ভারতীয় দলের সব সদস্যকে, যারা ধারাবাহিক কঠোর পরিশ্রম এবং মনোবল দিয়ে এই ইতিহাস গড়েছেন। দেশের প্রত্যাশা ছিল দীর্ঘদিনের স্বপ্ন সত্যি হয়ে উঠেছে। এই চ্যাম্পিয়নশিপ teams এর মধ্যে দাগ কেটে থাকবে বিচিত্র ইতিহাসের পাতায়।
Leave a Reply