আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে ঝিনাইদহের সদর উপজেলায় কলমনখালী বাজারে সামাজিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’দলের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। এই সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হন, যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের গা ও শরীরে ধারালো অস্ত্র ও ইটের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জেলার কলমনখালী এলাকায় রাজনৈতিক আধিপত্য চিহ্নিত বিরোধ চলছিল। এর মধ্যে মূল দুই পক্ষ হলো, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আসাদ চৌধুরী এবং বিএনপির একজন জোয়ার্দার সমর্থক। এই বিরোধের জের ধরে কিছুদিন আগে দু’পক্ষের মধ্যে ঝগড়া ও হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছিল। আজ সকালে ওই বাজারে অবস্থান নেয়া দু’দল সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা প্রকাশ পায়, আর হঠাৎ করে তারা দেশীয় ধারালো অস্ত্র, লাঠি ও ইট-পাটকেলসহ নানা ধারালো ও নিঃশব্দ পদ্ধতিতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দাঙ্গা শুরু হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেয় পুলিশ। আহতদের উদ্ধারের পাশাপাশি এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আন্দোলন ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আমাদের সকল امکانات ব্যবহার করছি।’
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুলতনা মেফতাহুল জান্নাত বলেন, ‘আহতদের শরীরে ধারালো অস্ত্র এবং ইটের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে, তাদের শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল, কোনও জীবনঝুঁকি নেই।’
Leave a Reply