মহানগর বিএনপি’র সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নতুন ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে আসছি। যারা আবারও ভোট চুরি কিংবা ভোট বঞ্চনার অপচেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধে জনগণের সম্পৃক্ততা দিয়ে কঠোরভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। গতকাল শনিবার রাতে নগরীর ২৯, ৩০ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
শফিকুল আলম মনা আরও বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের মৌলিক অধিকার লুণ্ঠন করছে। বিএনপি’র হাজারো নেতা-কর্মীকে পরিকল্পিতভাবে গুম, হত্যা ও নির্যাতনের শিকার করা হচ্ছে। ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমসহ অনেক নেতার সন্ধান আজও মেলেনি, তাদের পরিবারের সদস্যরা কান্নার আঁচড়ে এই অন্ধকারে ডুবছে।
জিয়া পরিবারের ত্যাগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জিয়া পরিবার। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় বন্দি করে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। তারেক রহমানের ভাই শোনাতে পারছেন না তাঁর মা’কে, কারণ এখন তিনি জনতার মা।’
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মৃতিকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে মনা বলেন, “জিয়াউর রহমান জনগণের কল্যাণে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। খনন প্রকল্প থেকে শুরু করে গণশিক্ষা কার্যক্রম—all এসব সাধারণ মানুষের উন্নয়নের জন্য। মৃত্যুর পরও তার নামে কোনও বিত্ত-বৈভব থাকেনি।”
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা পরিকল্পনা তুলে ধরে তিনি বলেন, “তারেক রহমান দেশের মানুষের জন্য নতুন স্বপ্ন দেখিয়েছেন। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘ফ্যামিলি কার্ড’ ও ‘হেলথ কার্ড’ চালু করা হবে, যার মাধ্যমে জনগণ অর্ধমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারবে এবং বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পাবেন। পাশাপাশি এক কোটি বেকার কর্মসংস্থানও নিশ্চিত করা হবে।”
ধর্মীয় রাজনীতির অপব্যবহার নিয়ে তিনি বলেন, “আজকাল কেউ কেউ জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে। বলে, আমাদের ভোট দিলে আপনি জান্নাতে যাবেন। এটি আল্লাহর সঙ্গে শিরক করার সমান, যা কখনো ক্ষমার যোগ্য নয়।” তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে 앞으로 আসন্ন আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান।
সভায় উদ্বোধক ছিলেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. মিরাজুর রহমান মিরাজ এবং প্রধান বক্তা ছিলেন সদস্য সচিব মো.ইস্তিয়াক আহমেদ ইস্তি। বিশেষ বক্তা ছিলেন সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক মুনতাসির আল মামুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক বদরুল আলম খান, সদর থানা বিএনপি’র সভাপতি কে. এম হুমায়ুন কবির ও সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহমেদ মোল্লা। সভাপতিত্ব করেন সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সদস্য সচিব রায়হান বিন কামাল। অনুষ্ঠানে খুলনা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply