 
								
                            
                       ঢাকাই সিনেমার কিংবদন্তি নায়ক সালমান শাহ ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অকাল মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যু নিয়ে নানা ধরনের রহস্য ও সংশয় সৃষ্টি হলেও, এই বিষয়ে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে ছিলেন তাঁর সাবেক স্ত্রী সামিরা হক। সময়েরReviewer: এই মৃত্যু মামলার তদন্ত প্রায় তিন দশক পর আদালতের নির্দেশে পুনরায় তদন্তের জন্য পুলিশ সক্রিয় হয়েছে, যা ব্যাপক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে। ২০ অক্টোবর রাতে সালমান শাহর মরদেহের মামলায় তার মামা আলমগীর কুমকুম রমনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন, যেখানে মোট ১১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। প্রধান আসামি হিসেবে রয়েছেন তার সাবেক স্ত্রী সামিরা হক। এর সাথে যুক্ত অন্য আসামিরা আছেন – প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই, খলনায়ক ডন, লতিফা হক লুসি, ডেভিড, জাভেদ, ফারুক, রুবি, আবদুস সাত্তার, সাজু ও রিজভী আহমেদ ফরহাদ। এই মামলা নিয়ে নাটকীয়তা ও গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর, বিষয়টি স্পষ্ট করতে সম্প্রতি শাবনূর তার ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেন, ‘২৯ বছর আগে, তারকা নায়ক সালমান শাহের মৃত্যুর ঘটনায় এক আদালত এই হত্যা মামলা রুজু করেছেন। তিনি আরও জানান, তিনি বিদেশে থাকাকালীন এই বিষয়ে গণমাধ্যমের খবরের মাধ্যমে অবহিত হন। অপ্রত্যাশিত ও ভিত্তিহীন গুজবের বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে শাবনূর বলেছেন, কিছু ব্যক্তির অসৎ উদ্দেশ্য এই মামলার সঙ্গে তার নাম জড়িয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তিনি সবাইকে অনুরোধ করেন, সত্যের বাইরে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকুন। শাবনূর তার স্মৃতিতে বলেন, সালমান শাহ অপূর্ব একজন শক্তিশালী ও প্রতিভাবান অভিনেতা। তিনি তার সাথে অভিনয় করে তার ক্যারিয়ার উজ্জ্বল ও বিকশিত হয়। সালমান শাহর অকাল মৃত্যুতে গভীরভাবে আঘাতপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন, তিনি কোনওভাবেই জানেন না কীভাবে মারা গেছেন সালমান। তবে তিনি তাঁর সঠিক তদন্ত ও ন্যায্য বিচার কামনা করেন, এবং দোষীদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানান। সালমান শাহের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে শাবনূর বলেন, সন্তান হারানোর বেদনাটা কতোটা কষ্টকর, সেটা তিনি সালমানের মায়ের সহানুভূতি দেখলে বোঝাতে পারবেন। তিনি আন্তরিকভাবে সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন। উল্লেখ্য, ২০ অক্টোবর মধ্যরাতে রাজধানীর রমনা থানায় সালমান শাহর মামা আলমগীর কুমকুম এই হত্যা মামলাটি দায়ের করেন, যেখানে প্রধান আসামি হিসেবে তার সাবেক স্ত্রী সামিরা হক সহ আরও ১০ জনের নাম যুক্ত হয়। এরমধ্যে আছেন প্রযোজক, খলনায়ক, অভিনেতা ও অন্য যারা এই মামলার অভিযুক্ত। সালমান শাহের প্রথম জুটি বাঁধেন ‘তুমি আমার’ সিনেমায় শাবনূর সঙ্গে, যেখানে তারা একসঙ্গে ১৪টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। মাত্র চার বছর ক্যারিয়ারে তিনি ২৭টি ব্যবসায়িকভাবে সফল সিনেমা উপহার দেন। তার উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’, ‘তুমি আমার’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘সুজন সখী’, ‘বিক্ষোভ’, ‘স্নেহ’, ‘প্রেম যুদ্ধ’, ‘কন্যাদান’, ‘দেনমোহর’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘আঞ্জুমান’, ‘মহামিলন’, ‘আশা ভালোবাসা’, ‘বিচার হবে’, ‘প্রিয়জন’, ‘তোমাকে চাই’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, ‘সত্যের মৃত্যু নেই’, ‘জীবন সংসার’, ‘মায়ের অধিকার’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘প্রেমপিয়াসী’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘শুধু তুমি’, ‘আনন্দ অশ্রু’ ও ‘বুকের ভেতর আগুন’।
Leave a Reply