জুলাই সনদের বাস্তবায়ন সংক্রান্ত ইস্যুতে সব দলেরই একমত হয়েছে যে, গণভোটটি অবশ্যই প্রয়োজন। তবে এর সময়সীমা নিয়ে বিতণ্ডা চলছিল— গনতন্ত্রের মূল নির্বাচন কি আগে হবে না কি গণভোটের পরে, এ নিয়ে চাপানউতোর চলছিল। এই পরিস্থিতিতে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, জাতীয় নির্বাচনের আগে আলাদাভাবে গণভোট আয়োজন করা হবে।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এই সংক্রান্ত সুপারিশমালা উপস্থাপন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আরও বেশ কিছু কমিশনের সদস্য।
সুপারিশমালার বিস্তারিত অনুযায়ী, জুলাই সনদের কার্যাদেশ তিন ধাপে আইনি ভিত্তি পাবে। প্রথমে, অন্তর্বর্তী সরকার একটি আদেশ জারি করবে যা বলে দেবে যে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের। এরপর এই আদেশের ভিত্তিতে গণভোট আয়োজন করা হবে। যদি গণভোটে সনদ পাস হয়, তবে নির্বাচিত সংসদ ২৭০ দিন (প্রায় ৯ মাস) এর মধ্যে এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বাধ্য থাকবে। আর যদি সময়মতো বাস্তবায়ন না হয়, তবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই সনদ কার্যকর হয়ে যাবে বলে সুপারিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
Leave a Reply