বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল বলেছেন, বিএনপি জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দীর্ঘ সময় ধরে রাস্তায় সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা চাই একটি ভোটাধিকার বলিষ্ঠ, জবাবদিহিমূলক সরকার গঠন হোক, যারা জনগণের পাশে থাকবেন এবং তাদের স্বচ্ছভাবেই সব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। ভোটের মাধ্যমে যারা নির্বাচিত হবেন, তারা জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থাকবে—অন্যথায় সরকারের দায়িত্ব-কর্তব্যের প্রায় কোনই গভীরতা থাকবে না। বিএনপি একাট্টা এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়, যেখানে মানুষ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারবে। তিনি আরও বলেন, এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই যেখানে কারো শিশুটি দারিদ্র্যতার কারণে স্কুল থেকে ছিটকে যাবে না। গতকাল রোববার বিকেলে নগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে “ঈমান ও আকিদা রক্ষায় করণীয়” শীর্ষক নারী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বকুল বলেন, আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া চালু করেছিলেন ‘খাদ্যের বিনিময়ে শিক্ষা’ কর্মসূচি, যা আবার শুরু হবে। তিনি বলেন, শিক্ষা সমাজের সকলের অধিকার, কেবল অভিজাত বা ধনী শ্রেণির জন্য নয়। বিএনপি’র ৩১ দফা কর্মসূচি হচ্ছে আগামী দিনের বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির প্রেরণা। এই কর্মসূচিগুলো শেখ হাসিনার পতনের পর তৈরি হয়নি—এগুলি দুই বছর আগে বিএনপির প্রধান নেতা তারেক রহমান বাংলাদেশের পুনর্গঠন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। যারা এখন সংস্কারের কথা বলে, তাদের বেশিরভাগই এই কর্মসূচিগুলোর ধার ধারেই। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রথম কাজ হবে এক কোটি তরুণের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। খুলনা অঞ্চলের বন্ধ মিল ও কলকারখানা পুনরায় চালু করে শিল্পচাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনা হবে। এলাকার উন্নয়ন প্রসঙ্গে বকুল বলেন, এই অঞ্চলে প্রায় দশ লাখ মানুষ বসবাস করে, কিন্তু আজ পর্যন্ত আধুনিক কোনো জেনারেল হাসপাতাল নির্মাণ হয়নি। জনগণের ভোটে যদি আমরা দায়িত্ব পাই, তাহলে খুলনা অঞ্চলে একটি আধুনিক জেনারেল হাসপাতাল নির্মাণের কাজ শুরু করব। মাদকের বিরুদ্ধে সতর্কতা জানিয়ে তিনি বলেন, মাদকের ভয়াবহতা প্রতিটি পরিবারকে গ্রাস করছে। প্রশাসন যথাসাধ্য চেষ্টা করলেও মাদক নিয়ন্ত্রণে সফলতা আসেনি। তাই জনগণকে একত্র হয়ে মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে হবে। সবাই মিলে মাদকের বিরুদ্ধে দাঁড়ালে খুলনা শহরে কারো পক্ষে টিক্তে পারা সম্ভব নয়। নারীদের প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সন্তানদের নৈতিকতা ও ধর্মীয় শিক্ষায় গড়ে তুলুন। শিক্ষিত, নৈতিক এবং সচেতন নারীরাই সমাজ পরিবর্তনের মূল চাবিকাঠি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপি’র সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাদী, সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক রেহেনা ঈসা ও চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, মহানগর মহিলা দলের আহবায়ক সৈয়দা নার্গীস আলী, সদস্য সচিব এড. হালিমা খানম প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন ১৪ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা দলের আহবায়ক রুনা বেগম।
Leave a Reply