সর্বশেষঃ
সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বার্সেলোনাকে হারাল রিয়াল Madrid, প্রথম ক্লাসিকো জয় এমবাপ্পের আফিফের হ্যাটট্রিকের কারণে বরিশালের দুশ্চিন্তা বাড়ল বাবর-শাহিনরা গোলাপি জার্সি পরে খেলবেন নিজ বাড়ি থেকে ভারতীয় অ্যাথলেটের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, পুলিশ ধারণা আত্মহত্যা অস্ট্রেলিয় নারী ক্রিকেটারদের শ্লীলতাহানির ঘটনায় ভারতের মন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্য সৌদিতে ব্যাপক ধরপাকড়, ২২ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার আফগান সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষ, পাকিস্তানি পাঁচ সৈন্য ও ২৫ জঙ্গি নিহত দক্ষিণ চীন সাগরে হঠাৎ মার্কিন যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হাতকড়া ও বেড়ি পরিয়ে ভারতে ফিরিয়ে আনা হলো ৫০ তরুণকে গাজায় মৃত্যু ও ধ্বংসের মধ্যে লুকানো হাজার হাজার টন অবিস্ফোরিত বোমা
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মন্দ ঋণ অবলোপনে সময়সীমা শিথিল

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মন্দ ঋণ অবলোপনে সময়সীমা শিথিল

বাংলাদেশ ব্যাংক মন্দ ঋণ অবলোপনের জন্য ব্যাংকগুলোর জন্য সময়সীমা শিথিল করে দিয়েছে, যেখানে আগে যত দ্রুত সম্ভব ঋণ অবলোপন করতে বলা হত, এখন তা আরও সুবিধাজনক করা হয়েছে। এ ছাড়াও, ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে, কোনও ঋণ অবলোপনের আগে অন্তত ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতাকে লিখিতভাবে নোটিশ পাঠাতে হবে, যাতে তারা বিষয়টি সঠিকভাবে জানতে পারেন।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১৮ ফেব্রুয়ারির পূর্বের নীতিমালা সংশোধন করে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। এর মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, যেসব ঋণ টানা দুই বছর ধরে নন-প্রদেয় বা ক্ষতিজনক মানে রেখিত ছিল, সেগুলো অবলোপন করা হত। কিন্তু এখন থেকে, যেসব ঋণ বর্তমানে মন্দ বা ক্ষতিজনক অবস্থায় রয়েছে এবং ভবিষ্যতে আদায়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ, সেগুলোও অবলোপন করা যেতে পারে। বিশেষ করে পুরোনো ঋণগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে অবলোপনের বিষয়টি দেখা হবে।

নতুন নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ঋণ অবলোপনের আগে অন্তত ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতাকে লিখিত নোটিশ দিতে হবে। কারণ, ঋণ অবলোপনের পরও পুরো অর্থ না পরিশোধ করা পর্যন্ত ঋণগ্রহীতাকে দায়মুক্তি পাওয়া যাবে না; তাকে খেলাপি হিসেবেই ধরা হবে।

নতুন নির্দেশনায় উপাদান হিসেবে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, মৃত ব্যক্তির নামে বা তার একক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া ঋণ ব্যাংক নিজ উদ্যোগে অবলোপন করতে পারবে, তবে এর জন্য মৃত ব্যক্তির উত্তরসূরি থাকা বা না থাকার বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। পাশাপাশি, ব্যাংকের নিজস্ব নীতিমালা অনুসারে, অবলোপন সম্পর্কিত প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নগদ প্রণোদনাও পেতে পারেন, যেখানে প্রয়োজন হলে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন নিয়ে প্রণোদনার নীতিমালা তৈরি করা যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ঋণ অবলোকনের আগে ব্যাংককে অবশ্যই বন্ধকীকৃত সম্পত্তিটি বিক্রির সব চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে এবং প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে। তবে, ‘অর্থ ঋণ আদালত প্রত্যাদেশ আইন ২০০৩’-এর আওতায় শিশু-সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ কিংবা মৃত ব্যক্তির নামে থাকা ঋণ মামলা ছাড়া অবলোপন করতে পারবে। এ ছাড়া, ঋণের অবলোপনের আগে অবশিষ্ট অর্থ থেকে সুদ বাদ দিয়ে অবকাশ থাকলেও প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ঋণ আংশিকভাবে অবলোপন করা যাবে না এবং ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন ছাড়া কোনও ঋণের অবলোপন সম্ভব হবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক শীর্ষ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আগে যেখানে ডলার সংকট ছিল, সেখানে এখন পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে এবং রিজার্ভও বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে, ব্যাংকগুলোর আর্থিক সক্ষমতা বাড়ছে এবং মন্দ ঋণ অবলোপনে শিথিলতা আনা ব্যাংকগুলোর আর্থিক ব্যবস্থাপনা উন্নত করবে। এর ফলে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনাও আরও বাস্তবমুখী হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Shipon tech bd