জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি উভয়কেই অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে না। তিনি জানান, বিগত সময়ে তারা আওয়ামী লীগের সহযোগী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছে। এর ফলে দেশের স্বাধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে তারা খুনির পক্ষে সাফাই গাইছে এবং জরুরি সময়ে সহানুভূতি প্রকাশ করছে। এ কারণেই তিনি মনে করেন, এ দুই দলকে নির্বাচনের বাইরে রাখতে হবে, কারণ তারা আবার ক্ষমতায় আসলে দেশের পরিস্থিতি ভারতের মতো করদরাজ্যে পরিণত হবে।
আখতার হোসেন আরও বলেন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া সরকারের নিজস্ব সিদ্ধান্ত ও উদ্যোগের অধীন। তিনি দাবি করেন, সরকার এ বিষয়ে ইতিমধ্যে যুক্তিতর্ক ও স্বাক্ষর সম্পন্ন করলেও, এখনো স্পষ্টভাবে বিষয়টি পরিষ্কার করেনি। তিনি মনে করেন, দ্রুত এই সনদের আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে, নয়তো দুর্ভাবনা সৃষ্টি হতে পারে। যদি একটি রাজনৈতিক দল কাগুজে সিদ্ধান্তের মধ্যে থাকলে আবার রাজপথে আন্দোলনে নামতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।
তিনি বলেন, কিছু তখনকার রাজনীতির উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচনী সংঘাত, কিন্তু আমরা এখন সংস্কার প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। এটা সম্ভব হয়েছে মূলত আমাদের দাবির কারণে, যা ঐকমত্যের মাধ্যমে সংস্কার কমিশনের কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে গেছে।
আখতার হোসেন আশঙ্কা প্রকাশ করেন, কোনো একটি দলের একান্ত সিদ্ধান্তের কারণে আরপিও সংশোধন করতে চাইলে, মনে করেন এর সাথে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির লন্ডনে বৈঠক বা স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর যোগসূত্র রয়েছে। অতীতের মতো এবারও তিনি আন্দোলনে যেতে চান না।
তিনি বলেন, দেশের মানুষের মানবিক মর্যাদা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষজনের অধিকার ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। তিনি দলবাজি রাজনীতি ও ব্যক্তিগত স্বার্থের বাইরে থাকবার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। জনগণের জন্য কাজ করতে চান, যাতে দেশের জন্য উন্নয়ন ও গণতন্ত্র সুদৃঢ় হয়।
আখতার আরও বলেন, সম্প্রতি একজন ইমাম গুমের ঘটনা ঘটেছে, যা আমরা দেখতে চাই না। তিনি ঘোষণা দেন, এনসিপি দেশের সকল মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করবে এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে। নতুন বাংলাদেশের السياسية বিনির্মাণের জন্য তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতার পরিবর্তে যোগ্যতার ভিত্তিতে মনোযোগ দিতে চান।
সমন্বয় সভায় বক্তব্য রাখেন, দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ, এবং জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব নাহিদা সারওয়ার নিভা। তবে, সভায় দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম উপস্থিত থাকলেন না।
Leave a Reply