খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, অতীতে যারা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ অমান্য করে সংবাদপত্রে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছেন, তারা দলের আর একজন সদস্য হতে পারছেন না। তিনি বলেন, বিএনপি একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। এখানে নেতৃত্বে প্রতিযোগিতা স্বাভাবিক, কিন্তু দলের শৃঙ্খলা ভাঙা এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে যারা বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপপ্রয়াস চালাচ্ছেন, তারা কখনোই বিএনপির অংশ নয়। তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি এখন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য সংগ্রাম করছে। এই সময়ে যারা দল বিকৃতি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন, তারা অজান্তে আওয়ামী লীগের স্বার্থ রক্ষা করছেন। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে যারা প্রকাশ্যে বিদ্রোহ করছেন, তাদের কোনওভাবে বিএনপির আদর্শের অংশ বলে বিবেচনা করা যায় না। বিএনপি কোনও ব্যক্তির প্রতিষ্ঠান নয়, এটি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে গড়া একটি জনগণের দল। এখানে নেতৃত্ব পাওয়ার জন্য ত্যাগ, আনুগত্য ও সংগঠনের প্রতি দায়বद्धতা থাকতে হবে, সংবাদ সম্মেলনের নাটক তাদের জন্য নয়।
বুধবার (২২ অক্টোবর) বেলা ১১টায় বিকেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা লিফলেট বিতরণ ও ধানের শীষের পক্ষে বিশাল প্রচার মিছিল শেষে পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মহানগর বিএনপির সভাপতি আরও বলেন, যারা ওয়ান ইলেভেনের সময় জিয়া পরিবারের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, আন্দোলনের নামে চাঁদাবাজি ও নেতাকর্মীদের থেকে প্রতারণা করেছে, তাদের জন্য বিএনপিতে কোনও স্থান নেই। খুলনা বিএনপি এখন আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ। কোনও ষড়যন্ত্রকারী বা দলবিরোধী ব্যক্তিকে দলে স্থান দেওয়া হবে না।
রয়্যাল মোড় থেকে শুরু হওয়া এই প্রচার মিছিল শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শিববাড়ি মোড়ে পথসভায় মিলিত হয়। সেখানে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন বলেন, আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য এখানে এসেছি কারণ আমরা এই দেশকে ভালোবাসি। দলীয় বিশ্বাসঘাতকদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, যারা ওয়ান ইলেভেনের সময় জিয়া পরিবারকে ধোঁকা দিয়েছে, আন্দোলনের নামে চাঁদাবাজি করেছে, এমনকি বিএনপি অফিসের সামনে গড়াকোটি দিয়ে নাটক করে নেতাকর্মীদের বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে—তাদের দল কখনো মেনে নেবে না। খুলনার মানুষ এমন নেতাদের বিএনপিতে দেখতে চায় না। তুহিন আরও বলেন, খুলনা বিএনপি এখন আন্দোলনের সফলতার প্রতীক। এই বিএনপির হাত ধরেই খুলনায় ফ্যাসিবাদী শক্তির পতন হয়েছে, এবং ভবিষ্যতেও এই মাটিতে ফ্যাসিস্টদের স্থান হবে না। আগামী দিনের রাজনৈতিক পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, খুলনার ছয়টি আসন ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। খুলনা বিএনপি এখন একত্র ও ঐক্যবদ্ধ, কোনও আন্দোলনবিমুখ বা পলায়নপর ব্যক্তিকে দলে ঢুকতে দেবে না।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ পারভেজ বাবু, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজসহ থানা, ওয়ার্ড বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, জাসাস, মহিলা দল, তাঁতীদল ও ছাত্রদলের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ। বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচি দেশের জনগণের মুক্তি, গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধার এবং রাষ্ট্রের উপকারী রূপান্তরের জন্য। খুলনা মহানগর বিএনপি এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরব থাকবে।
পরবর্তী কর্মসূচি: বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় রূপসার ফেরিঘাট থেকে রয়্যাল মোড় পর্যন্ত লিফলেট বিতরণ ও ধানের শীষের পক্ষে বিশাল প্রচার মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
Leave a Reply