সর্বশেষঃ
সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন সিয়ামের সঙ্গে অভিনয় করবেন না সাবিলা নূর, ছাড়লেন সিনেমা স্মৃতি ইরানির ধারাবাহিকে বিল গেটস ও উইল স্মিথের আগমন? ব্যাখ্যা হলো শিগগিরই আসামিদের গ্রেফতার করা হবে: ওসি ওমর ফারুক ২৯ বছরের নারীর অভিযোগে সংগীত পরিচালক গ্রেপ্তার সামিরা-ডনসহ সালমান শাহ হত্যা মামলার ১১ আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ভারতে ইঁদুর আতঙ্কে জড়িয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়ার নারী ক্রিকেটাররা থাইল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলার নারীরা এনসিএল চারদিনের টুর্নামেন্ট শুরু ২৫ অক্টোবর থেকে উড়ন্ত হেডসহ জোড়া গোলে মায়ামিকে জেতালেন মেসি মেসির হাতে গোল্ডেন বুট, এমএলএসের সর্বোচ্চ গোলের পুরস্কার
সালমান শাহ খুনের মামলায় ১২ লাখ টাকায় হত্যার সম্ভাবনা ও নতুন জবানবন্দি

সালমান শাহ খুনের মামলায় ১২ লাখ টাকায় হত্যার সম্ভাবনা ও নতুন জবানবন্দি

নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর রহস্যজনক মৃত্যু আজও অনেকে আলোচনায় রেখেছে। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তার মৃত্যু ঘটলেও, তখন זאת শুধুমাত্র আত্মহত্যা বলে ধরা হয়। তখনকার সময়ে তার সাবেক মেয়ে বন্ধুর বাবা-মা, বিশেষ করে তার শাশুড়ি লতিফা হক লুসি, এই মৃত্যুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা বলে দাবি করেছিলেন। কিন্তু পরিচিত তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য নিশ্চিত হয়নি।

তবে, দীর্ঘ ২৯ বছর পরে এক বিভ্রান্তির অবসান ঘটানোর জন্য মামলা নতুন মোড় নেয়। গত ২০ অক্টোবর আদালত সালমান শাহর মৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলায় রূপান্তর করার নির্দেশ দেয়। এর একদিনের মধ্যেই রমনা থানায় সালমানের মামা আলমগীর কুমকুম নতুন করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এই মামলার প্রমাণ হিসেবে উঠে এসেছে এক নতুন জবানবंदी, যা ১৯৯৭ সালে একই সঙ্গে আসামি রেজভীর দেওয়া। এ জবানবন্দিতে তিনি উল্লেখ করেন, সালমান শাহকে হত্যার জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছিল এবং এটি আসলে একটি হত্যাকাণ্ড। তিনি জানান, এই খুনের সঙ্গে তাঁর পরিবারসহ আরও অনেকে জড়িত।

জবানবন্দিতে রেজভী স্বীকার করেন, হত্যার পেছনে ছিল ১২ লাখ টাকা। এর মূল হোতা ছিল সালমানের শাশুড়ি লতিফা হক লুসি। দৃঢ় অভিযোগ আছে যে, খুনের পরিকল্পনায় ছিলেন বাংলা সিনেমার প্রভাবশালী কিছু খলনায়ক- ডন, ডেভিড, ফারুক ও জাভেদ।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৯৯৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর গুলিস্তানের একটি বারেতে ডন, ডেভিড, ফারুক, জাভেদ ও রেজভী প্রথম মিলিত হয়েছিলেন। তখন ফারুক উল্লেখ করেন, তার কাছ থেকে ২ লাখ টাকা, এবং পরবর্তীতে আরো ৪ লাখ টাকা নেওয়া হয়। এই টাকা মূলত সালমান শাহর হত্যার জন্যই পাঠানো হয়েছিল।

বর্ণনা অনুযায়ী, ঘটনার রাত আড়াইটার দিকে সালমানের বাড়িতে পৌঁছায় একদল গুপ্তচর। ঘুমন্ত সালমান শাহর ওপর নারকীয়ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে হত্যাকারীরা। সঙ্গে ছিলেন সালমানের প্রেমিকা সামিরা, তার মা লুসি ও একক আত্মীয় রুবি।

সামিরা ক্লোলোফর্ম দিয়ে সালমানের জ্ঞান হারানোর পর, শুরু হয় ধস্তাধস্তি। সালমানের শরীরে ইনজেকশন পুশ করে তাকে হত্যা করা হয়। এরপর তার লাশ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।

সালমান শাহের মৃত্যু আজও রহস্যের ঘেরা, অথচ ওই সময় বিভিন্ন তদন্ত কমিটি চেষ্টা করেও প্রকৃত কারণ খুঁজে পেল না। বহু বছর ধরে এ ঘটনাকে একাধিকবার অপমৃত্যু হিসেবে ঘোষণা করা হলেও, আসল সত্য প্রকাশিত হয়নি। ২৯ বছর ধরে চলমান এই মামলার মোট ১১ জন নামের তালিকায় রয়েছে সালমানের সাবেক স্ত্রী সামিরা হকসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নাম। দ্বিতীয় আসামির তালিকায় রয়েছেন প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই, খলনায়ক ডন, তার শাশুড়ি লতিফা হক লুসি, ডেভিড, জাভেদ, ফারুক, রুবি, আবদুস সাত্তার, সাজু ও রেজভি আহমেদ ফরহাদ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Shipon tech bd