নেত্রকোনার সদর উপজেলার কাঠমিস্ত্রি রিপন মিয়া ২০১৬ সালে একটি ভিডিও প্রত্যাহার করে তার জীবনে পরিবর্তন আনেন। সেই সময়ের সঙ্গে তার মজার মজার ভিডিওগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং তার পরিচিতি বাড়ে। এখন তিনি সম্পূর্ণভাবে একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হয়ে উঠেছেন। কিন্তু সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছে, টেলিভিশনের সাংবাদিক পরিচয়ের নামে রিপন মিয়ার পরিবারকে হেনস্থা করা হয়েছে। নিজেই একথা জানিয়েছেন তিনি।
রিপন মিয়া অভিযোগ করেন, তার ঘরে নারী সদস্য থাকা সত্ত্বেও নির্ধারিত অনুমতি না নিয়ে কিছু ব্যক্তি তার পরিবারকে ভিডিও করে। সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তিনি বলেন, আমি রিপন মিয়া। আপনাদের ভালোবাসা ও সমর্থনে ২০১৬ সাল থেকে এই কাজে থাকার সুযোগ পেয়েছি। এত দীর্ঘ সময়ে আমি কখনো কারও ক্ষতি করিনি। যে কেউ আমাকে ডেকেছেন, আমি সব সময় সাড়া দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমতে মানুষের ভালোবাসা বৃদ্ধির সাথে সাথে আমার পেজ হ্যাকের চেষ্টাসহ নানা আঘাত এসেছে। আজ, সোমবার, ঢাকার বেশ কয়েকজন টিভি সাংবাদিক আমার বাড়িতে এসে অনুসন্ধানমূলক কাজ করতে থাকেন। তবে তাদের কেউ অনুমতি না নিয়ে আমার পরিবারকে ভিডিও করে এবং ভেতরে ঢুকে অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করেন। এমনকি পরিবারের মহিলা সদস্য থাকলেও তাদের অনুমতি নেননি।
রিপন বলেন, আমি কখনোই আমার পরিবারের ছবি বা ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করে টাকা আয়ের অপচেষ্টা করিনি। তিনি উল্লেখ করেন, নির্দিষ্ট কোন টিভি চ্যানেলের নাম তিনি বলতে চায়নি, কারণ তার উদ্দেশ্য কখনো কারো ছোট করা নয়। তবে তাকে দুর্বল করে টাকা আয় করে তার পরিবারের খেয়াল রাখতে চাওয়া এই অসাধু কাজের জন্য অনেকে বিবেকহীনতা দেখাচ্ছেন।
তিনি সবাইকে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, নিজের বিবেকের প্রশ্ন করুন যে, এই পথ দিয়ে টাকা উপার্জন করে নিজের পরিবারের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে যতটা পারছেন, সেটি কি ঠিক? সবশেষে তিনি সবাইকে ভাল থাকার আহ্বান জানান এবং দোয়া চান।
Leave a Reply