সর্বশেষঃ
সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন অভিনেতা ফারহানের জীবনের সবচেয়ে সুন্দর দিন, মক্কায় উপস্থিতি অরিজিতের সঙ্গে দ্বন্দের অবসান, অবশেষে ভুল স্বীকার করলেন সালমান টিভি সাংবাদিক পরিচয়ে রিপন মিয়ার পরিবারকে হেনস্থা! প্রখ্যাত কন্নড় অভিনেতা রাজু তালিকোট হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ পাকিস্তানে অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী মুনিবা শাহকে গুলি করে হত্যা খুলনাকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন রংপুর শেষ ওভারে বাংলাদেশ হেরল রোমাঞ্চকর ম্যাচে নতুন বিসিবি পরিচালক জুলুর সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত শেষ মুহূর্তের গোলে বাংলাদেশের হংকংয়ের বিরুদ্ধে ড্র আফগানদের কাছে ২০০ রানে হেরে শোচনীয় হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশের
খুলনাকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন রংপুর

খুলনাকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন রংপুর

প্রিমিয়ার লিগের গত আসরে ঢাকা মেট্রোকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল রংপুর বিভাগ। এবারও তারা ফাইনালে জায়গা করে নিয়ে শিরোপার প্রত্যাশা ছিল। তবে এবার রংপুরের תשובה ছিল আরও কঠিন। ম্যাচের শুরু থেকেই রংপুরের বোলাররা দারুণ বল করে খুলনাকে আটকে রাখে, আর ব্যাটসম্যানরা নির্ভীকেই খেলতে থাকেন। ফলশ্রুতিতে, খুলনার ইনিংস শেষ হয় মাত্র ১৩৬ রানে, যেখানে তাদের সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ১৪ রান। এরপর রংপুরের ব্যাটসম্যানরা খুবই ধারাবাহিক ভাবে খেলতে থাকেন, এবং বড় জয় দিয়ে মাঠ ছাড়েন। তারা ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নেয়, সেইসঙ্গে টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

খুলনার বোলিং শুরুতেই ধাক্কা খায়। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা খুলনা প্রথম বলেই মোহাম্মদ ইমরানুজ্জামানকে হারায়, যিনি স্পিনার নাসুম আহমেদের দ্রুত গতি ও সঠিক লাইন লাউড করে প্রথম শিকার হন। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ওপেনার এনামুল হক বিজয়। তার বিরুদ্ধে পয়েন্টের দিকে বল ঠেলে বেশ কয়েকটি রান করার চেষ্টা করেন, কিন্তু শেষমেষ রান আউট হন। সৌম্য সরকারও ব্যাটে কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু রান নিতে গেলে তিনি আউট হন বাইরের বলের কারণে। এরপর একজনের পর একজন উইকেট পতনের মধ্য দিয়ে খুলনার ইনিংস দ্রুতই একপ্রকার ধসে পড়ে। শেষদিকে কিছু রান একটু বেশিই সংগ্রহ করে তারা, যেখানে ১৩০ পেরিয়ে যায়।

রংপুরের ব্যাটসম্যানরা শুরু থেকেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখে। দুই ওপেনার নাসির হোসেন ও জাহিদ জাভেদ দারুণভাবে দলের জন্য শক্ত ভিত্তি তৈরি করেন। তারা ৬১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে প্রথমে দলের গতি বজায় রাখেন। জাভেদ ২৪ বলে ২৭ রান করেন, যেখানে নাসির আরও উজ্জ্বল পারফর্ম করে ৪৬ রান করে আউট হন। তিনি হাফ সেঞ্চুরির কাছাকাছি থাকতেই আউট হন। এরপর নাইম ইসলাম ও অধিনায়ক আকবর আলী অবিচ্ছিন্নভাবে ৫৪ রান যোগ করে। নাইম ৩২ বলের মধ্যে অপরাজিত ৪০ রান করেন, আর আকবর ১৫ বলে ১৯ রান করে থাকেন।

রংপুরের জয়ে মূল ভুমিকা রাখে তাদের শক্ত বোলিং আর দৃঢ় মনোভাব। বিশেষ করে আব্দুল্লাহ আল মামুন ১৮তম ওভারে দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন, যা ম্যাচের মোড় ঘূর্নে যায় খুলনার বিপক্ষে। তিনি মিঠুন ও অভিষেক দাসের উইকেট তুলে নেন, যদিও হ্যাটট্রিকের অনুকূল সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। এই বোলিংয়ের ফলে খুলনার সংগ্রহ কাঁটার মতো আটকে যায়। শেষে, খুলনার ব্যাটসম্যানরা কিছুটা রানের ব্যবস্থা করলেও শেষ পর্যন্ত তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৩০ রান। এই সংগ্রহের সাথে রংপুরের জেতা নিশ্চিত হয়, এবং তারা টানা দ্বিতীয়বারের জন্য চ্যাম্পিয়ন হিসেবে স্বীকৃতি পায়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Shipon tech bd