ফরিদপুরে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের প্রতিবাদে চলমান অবরোধের অবসান না ঘটালে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব). আজ রোববার অনুষ্ঠিত কোর কমিটির বৈঠকে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, অবিলম্বে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করতে না পারলে পুলিশের মাধ্যমে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, জনগণের সন্তোষজনক ও শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান না হলে, আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম নেওয়া হবে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘রাস্তাঘাট অবরোধ করে জনহরানির চেষ্টা কখনও কাম্য নয়। আন্দোলনকারীদের উচিত বিষয়টি যথাযথ চ্যানেলে নিষ্পত্তি করা। দুই ইউনিয়নের লোকজনের রাস্তাঘাট অবরোধ করে হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি করা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।’ তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘অবিলম্বে এই অবরোধ প্রত্যাহার না করলে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের অবরোধ তুলে দেবেন।’ এই অবরোধ কার্যক্রমটি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের প্রতিবাদে তৃতীয় দফায় চলমান। আজ রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভাঙ্গায় দুটি মহাসড়ক ও রেলপথের অন্তত ১০টি এলাকায় আন্দোলনকারীরা অবরোধ চালিয়ে যান। ইতিমধ্যেই এই আন্দোলনের কারণে পর্যাপ্ত যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। অন্যদিকে, গতকাল শনিবার রাতে আন্দোলনকারীদের ‘সর্বদলীয় ঐক্য পরিষদ’ এর প্রধান সমন্বয়ক আলগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ম ম সিদ্দিক মিয়াকে ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এই আন্দোলনের মূল সূত্রপাত গত ৪ সেপ্টেম্বর, যখন নির্বাচন কমিশন আলগী ও হামিরদি ইউনিয়নগুলোকে ফরিদপুর-২ (সালথা-নগরকান্দা) আসনের সঙ্গে জোড়া দেওয়ার গেজেট প্রকাশ করে। এরপর থেকে এই পরিবর্তনের প্রতিবাদে গত শনিবার বিকেলে আলগী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিন দিনের জন্য সকাল-সন্ধ্যা অবরোধের ডাক দেয় সিদ্দিক মিয়া। এই আন্দোলন শুরু হওয়ার পেছনে মূল কারণ হলো, নির্বাচনী সীমানা পুনর্নির্ধারণের ওপর বিভিন্ন দলের ক্ষোভ ও বিরোধিতা। আন্দোলনকারীরা সরকারি পক্ষের এই সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে দুর্ভোগ চলতেই থাকবে বলে আশঙ্কা ব্যক্ত করছে।
Leave a Reply