ক্রিকেটে নারীর ক্ষমতায়নে এক ঐতিহাসিক দৃষ্টি আকর্ষণীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে আইসিসি। নারী ক্রিকেটের জন্য এই প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণ নারী ম্যাচ অফিসিয়ালসদের একটি দল দায়িত্ব পালন করবে আন্তর্জাতিক আসরে। এর ফলে এই ঘটনাকে ক্রিকেটের ইতিহাসে নতুন এক অধ্যায় হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে। চলমান নারী বিশ্বকাপে ম্যাচ অফিসিয়ালসদের তালিকা প্রকাশের মাধ্যমে, সামনের বিশ্বকাপে নারীদের এই ভূমিকা আরও শক্তিশালী ও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে বলে জানানো হয়েছে।
বিশ্বকাপের এই বিশেষ অনুষ্ঠানে ১৪ জন আম্পায়ারের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মতো প্রতিনিধিত্ব করছেন সাথিরা জাকির জেসি। এ ছাড়া, ক্লেয়ার পোলসাক, জ্যাকুলিন উইলিয়ামস এবং সু রেডফার্ন এই ত্রয়ীর তৃতীয়বারের মতো দায়িত্ব পালন করবেন। অন্যদিকে, লরেন এগেনব্যাগ ও কিম কটন তাদের দ্বিতীয় নারী বিশ্বকাপে আম্পায়ার হিসেবে কাজ করবেন। এই দুই নারী আম্পায়ার ২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত অস্ট্রেলিয়ার সপ্তম শিরোপা জয়ের সময় দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
ম্যাচ রেফারি দলের মধ্যে রয়েছে ট্রুডি অ্যান্ডারসন, শান্দ্রে ফ্রিটজ, জি.এস. লক্ষ্মী ও মিশেল পেরেইরা। তারা ভারতের শীর্ষস্থানীয় নারী ক্রিকেটের এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করবেন।
আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ এই ঐতিহাসিক ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, নারীদের জন্য এই পূর্ণাঙ্গ অফিসিয়াল প্যানেল একটি নতুন দিগন্তের সূচনা। এটি লিঙ্গ সমতা অর্জনের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এবং ভবিষ্যতে নারী ক্রিকেটের উন্নয়নে সাহস জোগাবে। তিনি বলেন, ‘এটি একটি মাইলফলকের মুহূর্ত, যা ক্রিকেটের বিভিন্ন ক্ষেত্রেই আরও অনেক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। নারী ম্যাচ অফিসিয়ালসদের অন্তর্ভুক্তি আইসিসির লিঙ্গ সমতা ও সমান সুযোগের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।’
প্রতিবেদনে জানা গেছে, এই তালিকায় রয়েছে নারায়ণ জননী, নিমালি পেরেরা, গায়ত্রী ভেনুগোপালান ও নারায়ণ জননীসহ আরও বেশ কয়েকজন প্রখ্যাত মহিলা আম্পায়ার। বাংলাদেশ থেকে একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে আছেন সাথিরা জাকির জেসি, যিনি এই ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছেন। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ক্রিকেট বিশ্বে নারীর অবস্থান আরও দৃঢ় হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
Leave a Reply