সর্বশেষঃ
সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন জনপ্রিয় টিকটকারের সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু শাহরুখ-দীপিকার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জনপ্রিয় অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে নারী অপহরণের অভিযোগ আবাসিক হোটেল থেকে টিকটকার মাহিয়া মাহি গ্রেপ্তার সাবিনা ইয়াসমিনকে জাতীয় সম্মাননা প্রদান বাংলাদেশকে সম্মান করলেও আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হংকংয়ের আশা অচল কাঠমান্ডু, আজ বাংলাদেশ দলের ফেরা হচ্ছে না আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিলেন পাকিস্তানের পেসার উসমান শিনওয়ারি ফাহমিদুল ও মোরসালিনের জোড়া গোলের ঝোড়ো উৎসবে বাংলাদেশ জয়ী বিশাল জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু আফগানিস্তানের
নেপালে সেনাবাহিনীর কারফিউ জারি

নেপালে সেনাবাহিনীর কারফিউ জারি

নেপালে বর্তমান পরিস্থিতি খানিকটা আলাদা রকমের উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে। প্রধানমন্ত্রীর কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগের পরও দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসেনি। এখন দেশের শাসনক্ষমতা সেনাবাহিনীর হাতে চলে গেছে, তারা রাস্তায় রাস্তায় টহল দিচ্ছে যাতে অশান্তি রোধ হয়। অবিলম্বে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দ্রুত কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বুধবার সকালে বড় ধরনের কোনও অশান্তির ঘটনা না ঘটলেও স্থানীয় বেশ কিছু এলাকায় ছোটখাটো সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, বাঁকে জেলার সংশোধনাগারে হামলায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি, দেশটির সেনাবাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, যতক্ষণ না নতুন সরকার গঠন হচ্ছে, তারা দেশটির শাসন ব্যবস্থাপনা চালিয়ে যাবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। ছাত্র-যুবকদের আন্দোলনের প্রভাব পড়েছে দেশজুড়ে, যা সোমবার এবং মঙ্গলবার দফায় দফায় উত্তেজনা সৃষ্টি করে। কাঠমান্ডু থেকে শুরু হওয়া এই বিদ্রোহ দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে নেপালের বিভিন্ন প্রান্তে। হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নামে, হাতে প্ল্যাকার্ড, মুখে স্লোগান, এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার সকাল থেকে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে থাকে। বিক্ষোভকারীদের আগুনে পুড়ে যায় নেপাল পার্লামেন্ট ভবন, ওলি ও তার মন্ত্রিসভার বাসভবন। এমনকি দেশের সুপ্রিম কোর্টেও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সুযোগ নেন দুষ্কৃতকারীরা। অনেক জেলে হামলা চালিয়ে বিবদমান বন্দিরা পালানোর চেষ্টা করেন। নিরাপত্তারক্ষী এবং পালানোর চেষ্টাকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে গুলি চালানো হয়। বন্দিদের গুলিতে সাতজন আহত হন, তাদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিত্সাধীন অবস্থায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে বাঁকে জেলার পোখরার জেলেও হামলা চালানো হয়। এখন পর্যন্ত প্রায় ১৬০০ বন্দি বিভিন্ন জেল থেকে পালিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী নানা জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে সেনাপ্রধান অশোকরাজ সিগডেল বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল বিক্ষোভের দাবিপত্র জানা। বুধবার রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌডেলর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধিদলের আবারও বৈঠক হতে পারে। এই বৈঠকে মধ্যস্থতা করবেন সেনাবাহিনী, যা থেকে একসময় সমাধানের আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, দেশের প্রধান সচিবালয় ভবনের নিয়ন্ত্রণও সেনা গ্রহণ করেছে। লুটপাট বা ভাঙচুরের খবর পেলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। দেশের নাগরিকের সহযোগিতা চেয়েছে সেনাবাহিনী। অশোকরাজ সেনাপ্রধান সকলের উদ্দেশে বলেছেন, প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে বিরত থাকুন এবং আলোচনায় বসুন যাতে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তারা নিশ্চিত করেছে যে, দেশের সার্বভৌমত্ব ও নাগরিকের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রাখতে তারা বদ্ধপরিকর। তবে, কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী অস্থির পরিস্থিতির সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে—সেই জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Shipon tech bd