ইসরায়েলে চালানো হামলার ব্যাপারে কাতারকে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট। তিনি মঙ্গলবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এই হামলার আগে তাদের জানিয়েছিলেন যে, তারা শিগগিরই শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কার্যক্রম চালাবে। এ খবরটি তখনই যুক্তরাষ্ট্র জানতে পারে। নেতানিয়াহু সঙ্গে কথা বলার পর সঙ্গে সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্টাফের মাধ্যমে দোহাকে এই হামলার বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন।
তথ্য আরও জানানো হয়, কেবল হোয়াইট হাউস নয়, মার্কিন সামরিক বাহিনীর কাতারস্থ ঘাঁটিও দোহাকে সতর্কতা পাঠিয়েছিল। হামলার পর, ট্রাম্প কাতারের নেতাদের সঙ্গে টেলিফোনে কথাও বলেছেন এবং তাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন যে ভবিষ্যতে এই ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটবে না।
মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বিশ্বস্ত মিত্র হলো কাতার। সেখানে মার্কিন সেনাঘাঁটি রয়েছে এবং ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের সময়ে এই দেশ গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতা করছে। বর্তমানে, এই সংঘর্ষে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসর কার্যকর ভূমিকা পালন করছে।
সম্প্রতি, ট্রাম্প গাজা পরিস্থিতি শান্ত করতে একটি খসড়া প্রস্তাব পাঠিয়েছেন এবং সেই বিষয়ে আলোচনা চলার সময়, কাতারিয়ার এক ভবনে হামাসের শীর্ষ নেতারা বৈঠক করেন। ঠিক সময়ে, ইসরায়েলের বিমান হামলা চালায় ওই ভবনটিকে লক্ষ্য করে। ইসরায়েলির প্রতিরক্ষা বাহিনী বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, এই হামলাটি হামাসের শীর্ষ নেতা খলিল আল হায়া ও পশ্চিম তীর শাখার নেতা জাহের জাবারিনকে হত্যার লক্ষ্যেই চালানো হয়েছিল। তবে সেই লক্ষ্য সফল হয়নি; গত ঘটনার মধ্যে অন্তত ৬ জন নিহত হয়েছেন, এর মধ্যে পাঁচজন হামাসের সাথে সংশ্লিষ্ট বলে জানা গেছে। হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিহতদের মধ্যে কোনো উচ্চপদস্থ নেতা ছিল না।
সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে ক্যারোলিন লিভিট বলেন, ‘হামাসকে নিশ্চিহ্ন করা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের জন্য জরুরি লক্ষ্য, তবে দোহায় ইসরায়েলের এই হামলা সেই লক্ষ্যে পৌঁছাবে না।’ সূত্র: এএফপি।
Leave a Reply