গত আগস্ট মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা হ্রাস পেয়েছে, যা জুলাইয়ের তুলনায় কমেছে। তবে বেশ অস্বস্তি সৃষ্টি করেছে খাদ্য বিভাগের মূল্যবৃদ্ধি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) আজ রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
তথ্য অনুযায়ী, আগস্ট মাসে সার্বিক মূল্যমূল্য সূচক ৮ দশমিক ২৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা জুলাই মাসে ছিল ৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ, অর্থাৎ এই মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি প্রায় ০.২৬ শতাংশ কমেছে।
তবে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। আগস্টে খাদ্য উপাদানের মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক ০৪ শতাংশ বেড়েছে এবং বর্তমানে এটি ৭ দশমিক ৬০ শতাংশে পৌঁছেছে। جولাই মাসে এই হার ছিল ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
বিবিএসের তথ্যমতে, জুলাই মাসে সার্বিকভাবে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ, যা আগস্টে কমে ৮ দশমিক ৯০ শতাংশে পৌঁছেছে। এটি প্রায় ০.৪৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
এছাড়াও, আগস্ট মাসে গ্রামাঞ্চলে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ৮ দশমিক ৩৯ শতাংশে নেমে এসেছে, যেখানে খাদ্য বিষয়ক মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ২৮ শতাংশ। অন্যদিকে শহরে এই হার ৮ দশমিক ২৪ শতাংশে নেমে এসেছে, যেখানে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে মূল্যস্ফীতি কমানোর চেষ্টা চলছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) একটি অনুষ্ঠানে বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। এটা এক রাতের কাজ নয়, সময় নেয়। চালের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে আগস্টে কিছুটা মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, তবে আমাদের লক্ষ্য ৫ শতাংশের নিচে মূল্যস্ফীতি রাখা।
Leave a Reply